কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের কুশপুত্তলিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এবং গোল চত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের ওপর ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে এই কুশপুত্তলিকা ঝোলানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতাদের উপস্থিতিতে মূল ফটকের মাঝামাঝি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেহারা সদৃশ একটি কুশপুত্তলিকা ঝোলানো হয়েছে। এ ছাড়া গোল চত্বর সংলগ্ন ডাস্টবিনের ওপরের কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে আরেকটি কুশপুত্তলিকা ঝোলানো হয়েছে।
কুশপুত্তলিকা ঝোলানোর বিষয় শিক্ষক সমিতির সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে বঞ্চিত করেছেন। সবার মনেই সে জন্য ক্ষোভ জন্মেছে, সে ক্ষোতের বহিঃপ্রকাশ এই কুশপুত্তলিকা। আমরা এটিকে না পুড়িয়ে আজ ডাস্টবিনের ওপর প্রতিস্থাপন করেছি।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন এবং শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা ডাস্টবিনে নিক্ষেপের মতোই। তারই প্রতিবাদস্বরুপ আমরা তার কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়েছি। তার যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতি সেগুলোর জন্য আমরা চাই তিনি এই স্থান ত্যাগ করে চলে যাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরতে প্রস্তুত। আমরা চাই তিনি আমাদের সে ব্যবস্থা করে দিক।’