জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা। গত ৩ এপ্রিলও একই বিষয়ে তারা প্রথম লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগের কোনো তদন্ত বা দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না দাবি করে সোমবার ফের নতুন করে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন এই শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের কাছে দেয়া লিখিত আবেদন পাঠ করে শোনানো হয়। এ সময় ছাত্রলীগমনা তিন শিক্ষার্থী এটি পাঠ করেন।
লিখিত আবেদনে বিষয় হিসেবে লেখা হয়েছে, সামাজিক অবমাননা ও কালচারাল র্যাগিং-এর বিষয়ে করা অভিযোগের তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন।
আবেদনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা প্রায়ই অনলাইন ও সরাসরিভাবে হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। আর এটির সূত্রপাত গত বছরের জুলাইয়ে সুনামগঞ্জে আটক ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করে করা মানববন্ধনের পর থেকে।
তারা বলেন, এই মানববন্ধনের পর থেকে মানববন্ধনে থাকা শিক্ষার্থীদের ডেকে জবাবদিহিতা চাওয়া, সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কারের ভয় দেখানোসহ নানাভাবে তাদের অপমান করা হয়েছে দাবি করে আবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ রাতে এক সাথে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মিথ্যাচার এবং সেখানে ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এসেছে দাবি করে সেখানে আমাদেরকে অপরাধী বানিয়ে আমাদের ওপর যে মব জাস্টিস শুরু করে তা আমরা আপনার (উপাচার্য) বরাবর জমা দিয়েছিলাম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনি আমাদেরকে আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত আমরা তার কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের ওপর শাস্তি আরোপ হতে দেখিনি। যার ফলে নিপীড়ন ও সামাজিকভাবে আমাদেরকে হেনস্তা করার দিনের পর দিন তারা নতুন নতুন ধরণ বের করা শুরু হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, আমাদের দেওয়া আগের অভিযোগ পত্রের বিপরীতে কোনো যথাযথ পদক্ষেপ আমরা খেয়াল করিনি। তাই আমাদের নিবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে আমরা বুয়েট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের তদন্তের রিপোর্ট এবং দোষীদের শাস্তি চাই।