বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রক্সিকাণ্ড: অভিযুক্ত মাদ্রাসা প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৭:৩৬

ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটকের পর মূল পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব মাদ্রাসার প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নওগাঁর সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার সকালে আরবি দ্বিতীয় পত্রের দাখিল পরীক্ষা চলাকালে ৫৯ জন ভুয়া দাখিল পরীক্ষার্থী আটকের পর মূল পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব মাদ্রাসার প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সাপাহার উপজেলার ওই কেন্দ্র থেকে মূল পরীক্ষার্থীর জায়গায় ভূয়া বা প্রক্সি দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের শনাক্তের পর প্রথমে তাদের আটক করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন। তবে মূল পরীক্ষার্থীরা যেসব মাদ্রাসা থেকে নিবন্ধন করেছেন, ওইসব মাদ্রাসার প্রধানদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।

ইউএনও মাসুদ হোসেন নিজেই নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে তিনটি সদ্য এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে। সেগুলো হলো- সাপাহারের শিমুলডাঙা দাখিল মাদ্রাসা, মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসা এবং বলদিয়াঘাট দাখিল মাদ্রাসা। সেই সঙ্গে রয়েছে পাঁচটি মাদ্রাসা, যেগুলো এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। সেগুলো হচ্ছে- পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসা, দেওপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসা, তুলসিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা এবং আন্ধারদিঘি দাখিল মাদ্রাসা।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আরবি দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কিছু ভূয়া পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে দিচ্ছেন- সচিবের এমন নির্দেশে কক্ষ পরিদর্শকগণ খাতা স্বাক্ষর করার সময় বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কেন্দ্র সচিবকে নিশ্চিত করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্র সচিব ইউএনওকে জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এসে কেন্দ্রে অভিযান চালান। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ছবিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৯ জন পরীক্ষার্থী ‘ভুয়া’ শনাক্ত হয়।

সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৪০টি মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কেন্দ্রে এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছেন ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে শিমুলডাঙা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১১ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৮ জন, দেওপাড়া সিংপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন, আলাদিপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন, তুলসিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন, বলদিয়াঘাট দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন, আন্ধারদিঘি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৭ জন এবং মানিকুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, এর আগে অনুষ্ঠিত বাংলা প্রথম ও বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায়ও একইভাবে অংশগ্রহণ করে ওই শিক্ষার্থীরা। মূল পরীক্ষার্থীর জায়গায় তারা প্রক্সি বা বদলি পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিল।

কেন্দ্র সচিব মো. মোসাদ্দেক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গোপন সূত্রে প্রক্সির বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি আমি ইউএনও এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

‘এরপর ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার এসে কক্ষ পরিদর্শকদের সহায়তায় মোট ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করেন। এরপর তাদের বয়স বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তবে ওই আটটি মাদ্রাসার প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও স্যার।’

মামলার বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

ইউএনও মাসুদ হোসেন বলেন, ‘যাচাইয়ের পর ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়ায় তাদের কক্ষ পরিদর্শক বহিষ্কার করেন এবং ওই ৮টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সচিবকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর