১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে চেয়ারম্যানের পদে কেউ না থাকায় ফল প্রকাশ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন চেয়ারম্যানের যোগদানের পর প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে এনটিআরসিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২ অথবা ৩ জানুয়ারি ফল প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নতুন চেয়ারম্যান চাইলে ১ জানুয়ারিও তা প্রকাশ করা হতে পারে।
গত ২০ ডিসেম্বর অবসরে গেছেন এনটিআরসিএ-র বিদায়ী চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান। এর একদিন পর, অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর রাতে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান সাইফুল্লাহিল আজম। তবে এখনও যোগদান করেননি তিনি।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ জানুয়ারি নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করার কথা রয়েছে। দায়িত্বগ্রহণের পর তিনি অনুমতি দিলেই প্রকাশ করা হবে শিক্ষক নিবন্ধনের ফল। সেক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ জানুয়ারির মধ্যেই ফল প্রকাশের জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
সূত্র জানায়, ‘নির্বাচনের আগেই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৫ ও ৬ জানুয়ারি সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি; ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। ফলে ৪ জানুয়ারির মধ্যেই সুখবর পেতে পারেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফলপ্রত্যাশীরা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ-র শিক্ষক নিবন্ধনের ফলাফল প্রস্তুত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, ‘১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত। যেহেতু চেয়ারম্যান নেই, সেজন্য এখন পুনরায় ফলাফল শিট রিভাইজ করা হচ্ছে। যাতে কোনো ভুল-ত্রুটি না থাকে, সেটা যাচাইয়ের কাজ চলছে। তবে যেহেতু আমাদের নতুন একজন চেয়ারম্যান এসেছেন। তিনি যোগদানের পরপরই ফল প্রকাশ করতে চাই। আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।’
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ-র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে চাই। আশা করি, সেভাবেই সবকিছু সম্ভব হবে।’
এদিকে, মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুব কম বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। ভুল বিষয়ে আবেদন, মৌখিক পরীক্ষায় নিজের নাম-পরিচয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারা এবং অনুপস্থিত প্রার্থীরা অকৃতকার্য হতে পারেন।
অন্যদিকে, শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে যাবে, তাদের ক্ষেত্রে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করবে এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে প্রার্থীরা বয়সের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাবেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম ব্যাচ ও দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষা নেয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৮টি বোর্ড গঠন করা হয়। প্রতিটি বোর্ডে দুই ব্যাচে ৫০ জন প্রার্থীর ভাইভা নেয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।