ক্লাস শেষে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক নারী শিক্ষার্থী।
শালবন জাদুঘর সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মোড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক ‘মদ্যপ’ যুবককে শিক্ষার্থীরা ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ২৫ বছর বয়সী ফরহাদ মজুমদার সালমানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি কোটবাড়ি থেকে ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির পাশে আমার বাসায় যাচ্ছিলাম। তখন ওই ছেলেটি (অভিযুক্ত) রাস্তার পাশে থাকা গাছের গুঁড়ির ওপর বসেছিল।
তখন ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির দিক থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আমার কয়েকজন জুনিয়র আসছিল। তাদের উদ্দেশ্য করে লোকটি (অভিযুক্ত) জিজ্ঞেস করে, কিরে ভার্সিটির নাকি? তখন জুনিয়রগুলো ভয় পেয়ে যায়। তারা বলে-হাঁ ভাই ভার্সিটির। এরপর লোকটি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, যা বলে তা প্রকাশ যোগ্য নয়।'
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘এসব কথা শুনে আমিও ভয় পেয়ে যাই। তখনই পাশের বাসা থেকে একজন আঙ্কেল বের হলে আমি উনার সহযোগিতা চাই। এরপর ওই ছেলে আমার কাছে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।
আমি দৌড়ে বাসায় গিয়ে আমার জুনিয়রদের ফোন দেই। তখন জুনিয়ররা এসে ওই লোকটিকে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযুক্ত ফরহাদ মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্ত্যক্ত ও গালিগালাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ড্রাংক ছিলাম। কিন্তু, আমি আপুকে কিছু বলিনি।’
অভিযুক্তের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিবেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আসফার খান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যদি থানায় অভিযোগ করে তাহলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আপাতত প্রাথমিক তদন্তের জন্য অভিযুক্তকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। সে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে থানায় অভিযোগ করবে কি না। সে অভিযোগ করলে আমাদের প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা করবে৷ আর না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় কথা বলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মুচলেকা নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারি।’