কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিপোর্টার্স ইউনিটির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পেরিয়ে ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করেছে সংগঠনটি।
দিনটি উপলক্ষ্যে শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয় থেকে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্তর নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
পরে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে মিলনায়তন প্রাঙ্গনে একটি গাছ লাগানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম আলী হাসান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব, সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম আদনান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার কবির রিমন, কোষাধ্যক্ষ শাহীন আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারহানা নওশীন তিতলী। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামি, যায়ীদ, ইমন, মংক্যচিং মারমা সহ অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা সাংবাদিকতায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পেয়েও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে সদস্য সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যারা সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত তারাও অংশগ্রহণ করবে এটাও ভালো দিক। আপনারা যেমন নেতিবাচক দিকটা সমাধানের লক্ষ্যে তুলে ধরবেন তেমনি ক্যাম্পাসের ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরে অন-অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরকেও অনুপ্রাণিত করবেন। আপনারা যেভাবে ৫ বছর এগিয়ে গেছেন এটা অবশ্যই সম্মানের দাবিদার।’
সংগঠনটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত সাংবাদিকতার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে রিপোর্টার্স ইউনিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে সার্বজনীন করতে যোগ্যতা এবং ইচ্ছে শক্তিকে প্রাধান্য দিয়েছে সবসময়। রিপোর্টার্স ইউনিটি ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। সুযোগ দিয়েছে আদিবাসী শিক্ষার্থীদেরও। যেটা ইবিতে আগে ছিল না। প্রগতিশীলতার এ ধারা অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ‘সত্য সন্ধানে মুক্ত কলম সৈনিক’ স্লোগান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। এরপর থেকে সল্প সময়েই সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলের নিকট আস্থার প্রতীক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সংগঠনটি।