চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি ছাত্রলীগ কর্মীদের নিরপরাধ দাবি করে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। পাশাপাশি ৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রক্টর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদকে ইকবাল হোসেন টিপুর সই করা এক স্মারকলিপিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো- শাটল দুর্ঘটনায় আহত সব শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করা, অবিলম্বে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ভিত্তিহীন মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া, সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ৭ তারিখের শাটল দুর্ঘটনায় গাফিলতি বা অব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু তদন্তে কমিটি গঠন ও জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা কার্যকর করা, শাটলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিডিউল বৃদ্ধি করা, শাটল ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং ক্যাম্পাসে ও শাটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাটলে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। শাটলের সংকট ও অপব্যবস্থাপনার দরুন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তীতে গণজোয়ারে রূপ নেয়। সেই শান্তিপূর্ণ অধিকার আন্দোলনের সময় কিছু বিশৃঙ্খলাকারী আন্দোলনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনসহ অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালায়।
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন মামলা করে। কিন্তু সেই মামলা করা হয় কতিপয় নিরপরাধ এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এটা একজন শিক্ষার্থীকে নিপীড়নের শামিল। নিরপরাধ এই শিক্ষার্থীদের ওপর অবিচার ও ভিত্তিহীন মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা স্মারকলিপি পেয়েছি। তাদের দাবিগুলো আমরা পূরণের চেষ্টা করছি। মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তবে কেউ নিরপরাধ থাকলে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হবে। নিরপরাধ কাউকে শাস্তির আওয়ায় আনা হবে না।’