ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ছিনতাই ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আটক চার শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে ভুক্তভোগীর অভিযোগের বর্ণনার মিল না থাকায় তাদের ছেড়ে দিয়েছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
রোববার রাতে অভিযোগকারীর বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই চার শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
ছেড়ে দিলেও অধিকতর তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ডিএমপির নিউমার্কেট থানার সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে রাজধানীতে ছিনতাইরোধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া ওই ছিনতাইয়ের অভিযোগটি আমরা তাৎক্ষণিক আমলে নিয়েছি। মামলার পর আমরা এজাহারে নাম থাকা চারজনকে খুঁজে পাই। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদ ও পূর্ববর্তী অপরাধের রেকর্ড পর্যালোচনা করে ঘটনা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ তৈরি হয়- অভিযোগটি সত্য, নাকি কিছুটা সাজানো? এ অবস্থায় আমাদের মনে হয়েছে, মামলাটি আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। যাচাই-বাছাই শেষে যাদের সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় চারজনকেই মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গত ২১ জুন রাত ১টার দিকে ছিনতাই ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে বলে রোববার (৯ জুলাই) রাতে অভিযোগ করেন এক নারী। অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণের পর এজাহারে নাম থাকা ঢাকা কলেজের চার শিক্ষার্থীকে নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
চারজনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে বাদীর অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও কলেজ শিক্ষকরা এসে চাপ প্রয়োগ করে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।
তবে ‘কোনো চাপ নয়, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাদের মুচলেকা রেখে ছাড়া হয়েছে’ বলে দাবি করেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘আমরা কারও চাপে (তাদের) ছেড়ে দেইনি। আইনের মধ্যে থেকেই তাদেরকে ছাড়া হয়েছে। আজকে আদালতও সেটার অনুমোদন করেছে।’