বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঘটা করে’ এসএসসি, এইচএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন

  •    
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০২

শিক্ষাব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উৎসবের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে পিছিয়ে থাকা কিংবা অকৃতকার্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ওপর। সব শিক্ষার্থীর মানসিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশ অনেক আগেই এই আয়োজন থেকে সরে এসেছে। 

এসএসসি বা এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন দেশজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। পরীক্ষায় ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরা মাতেন উচ্ছ্বাসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবক, শিক্ষকেরাও। ভালো ফল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খবর ফলাও করে প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে। পরের কয়েক দিন কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়েও প্রকাশ হয় প্রতিবেদন।

বছরের পর বছর এমন রীতিই চলছে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা ঘিরে। তবে শিক্ষাব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসবের এই জোয়ার কৃতী শিক্ষার্থীদের আলোড়িত করলেও সম্পূর্ণ বিপরীত প্রভাব ফেলছে পিছিয়ে থাকা কিংবা অকৃতকার্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ওপর। পরীক্ষায় ‘খারাপ করা’ শিক্ষার্থীর আত্মহননের মতো ঘটনাও ঘটছে প্রতিবছর।

তারা বলছেন, উৎসবের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। সব শিক্ষার্থীর মানসিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন দেশ অনেক আগেই ঘটা করে ফল প্রকাশের ব্যবস্থা থেকে সরে এসেছে।

দেশের একটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই দিন একজন শিক্ষার্থী আমাকে ফোন করেই কাঁদতে শুরু করে। সে জানায়, পরীক্ষায় খারাপ ফলের কথা জানাজানি হওয়ায় বাবা-মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছে। যদি আমি (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) তার দায়িত্ব না নিই সে (শিক্ষার্থী) আত্মহত্যা করবে।’

বিশেষজ্ঞরা জানান, এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর রোল ও নিবন্ধন নম্বর দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো শিক্ষার্থীর ফল যে কারও পক্ষে জানা সম্ভব। তবে উন্নত দেশে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে ফলটি জানায় তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল অন্য কারও জানার সুযোগ নেই। পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিংয়ের শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সেখানে প্রকাশ করা হয় না।

তারা বলছেন, দেশে জিপিএ ফাইভকে শীর্ষ মানদণ্ড ধরে নেয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বেড়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষকও। সরকারের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমও বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে।

শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করছেন ঘটা করে পরীক্ষার ফল প্রকাশের রীতি একটি ‘অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয় চর্চা’।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই পাবলিক পরীক্ষার ফল কেন ঘটা করে প্রকাশ করতে হবে? এখানেই তো গোড়ায় গলদ।’

ইংরেজি মাধ্যমে পড়া নিজের ছেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যখন এ-লেভেল এবং ও-লেভেলের পরীক্ষা দিল তখন কেউ জানল না। সে রেজাল্ট পেয়ে গেল। নিজের কম্পিউটারে চলে এলো, সে আমাকে দেখাল, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করল। ওরা ওরা মজা করে পৃথিবীর সব পথে বেরিয়ে গেল।’

তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা (পরীক্ষায় কৃতিদের সামনে আনা) ঘটা করে তারা শুরু করেছে। তারা শীর্ষ জিপিএ প্রাপ্তদের রিসিপশন দেয়। একটা ভজঘট ব্যাপার হচ্ছে।’

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার দর্শন হচ্ছে প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, প্রতিযোগিতা হবে নিজের সঙ্গে। আমি কত জোরে দৌড়াতে পারি আমার সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুটা নিয়ে আমি কাজ করে ওই লক্ষ্যে দৌড়াব। এমন অনেকে আছে যারা জিপিএ ফাইভ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেনি। জিপিএ ফাইভ বাচ্চাদের একটা ফাঁদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। পরিবারগুলোকে একটা ধন্ধের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো বাচ্চাদের ওপর মানসিকভাবে অনেক প্রভাব ফেলে। যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি তারা নিজেদের অধম মনে করে। তাদের আত্মবিশ্বাসের ভিত কেঁপে যায়। এরা আর সেই ভিত খুঁজে পায় না। অথচ অনেক ছেলে-মেয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে গেছে যারা জিপিএ ফাইভ পায়নি।’

অভিভাবকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘মা-বাবারা এখন ফেসবুকে পাবলিসিটি করেন। এতে বাচ্চাদের ওপর একটা চাপ তৈরি হয়ে যায়। যে সময়ে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করার কথা নয়, শিক্ষার আনন্দ পাওয়ার কথা সেই সময়ে তাদের ভি সাইন দেখিয়ে, ড্রাম বাজিয়ে বিশেষ করে পত্রিকাগুলো এ ব্যাপারে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।

‘সব মিডিয়া ঢাকাতে ভিকারুননিসা, আইডিয়াল, না হয় উত্তরা মডেল নিয়ে ব্যস্ত। এখানকার ছেলে-মেয়েদের ছবি দেখিয়ে তারা সন্তুষ্টি পায়। অথচ যে বাচ্চা এই চাপের মধ্যে পড়ে আত্মহত্যা করল, তার খবর কেউ রাখে না।’

নীতিনির্ধারকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রেজাল্ট শুধু বাচ্চারা জানবে, স্কুল জানবে। ঘটা করে ফল প্রকাশের দিনের কোনো দরকার নেই। এটা প্রত্যেকটা বোর্ড শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেবে। তারাই শুধু জানবে। জিপিএ ফাইভ উৎসব অন্যদের জন্য বিষাদের দিন তৈরি করে। এটা অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির ফ্রাঙ্ক এইচ নেটার এমডি মেডিসিন স্কুলের ইআইডি অনুষদের সহযোগী ডিনের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক সেজান মাহমুদ।

আমেরিকায় এভাবে ঘটা করে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় না জানিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো পরীক্ষার ফল জানানোর ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কতার সীমা বিবেচনা করা হয়। ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সাধারণত বাবা-মা বা লিগ্যাল গার্জিয়ানকে ডেকে ফল শেয়ার করা হয়। এর চেয়ে বেশি বয়সের ক্ষেত্রে সন্তানের অনুমতি সাপেক্ষে বাবা-মা রেজাল্ট দেখতে পারেন।’

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বাবা-মা খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীর সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবারের নির্দিষ্ট কারও কাছে এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে পাঠানো যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে পত্রিকায় বা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে নামসহ পরিচয়সহ দেয়া উচিত নয়। বড়জোর যেকোনো আইডির শেষ চার নম্বর দিয়ে ফল দেয়া যেতে পারে।’

চিকিৎসাবিজ্ঞানী সেজান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের ফল আশানুরূপ হচ্ছে না তারা নানান মানসিক বিপর্যয়ের স্বীকার হচ্ছে। স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, এমনকি সুইসাইডের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। আমাদের মনে রাখা দরকার একবারের রেজাল্টই জীবনের সবকিছু নয়।’

শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার। এরপরেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল অন্যদের মাঝে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে দায়ী করছেন তিনি।

তপন কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বোর্ড থেকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল পাঠিয়ে থাকি। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠান রেজাল্ট পেয়ে থাকে। নৈতিকভাবে তারা সেটা উন্মুক্ত করতে পারে না।

‘আমাদের বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে চাইলেই যে কারও ফল জানার সুযোগ নেই, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সুযোগ আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের ফল পাঠাতে হয়। এটা ব্রিটিশ সময় থেকে আছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটা ডিজক্লোজ করবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। এটা তাদের নীতি-নৈতিকতার বিষয়। এখানে আমাদের কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।’

ঘটা করে ফল প্রকাশ না করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই প্রস্তাবটি ভেবে দেখা যায়। এটি আমি এরপর নির্ধারিত ফোরামে আলোচনা করব। ফলাফলটা যার যার তার তার হয়, সামাজিকভাবে অন্য কেউ যেন না জানে।’

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের অভিভাবকদের আরও সচেতনতার তাগিদ দিচ্ছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিভাবকরা এখন সন্তানদের নিয়ে অনেক বেশি অশান্ত পরিবেশ তৈরি করে থাকেন, যা তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।

‘এই আয়োজনটা (উৎসব করে ফল প্রকাশ) আমাদের এখানে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে এখন পরিবেশ ও পরিস্থিতি বদলে গেছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের ইমোশনাল জায়গাটা বেড়ে গেছে। তারা একটু স্পর্শকাতর হয়েছে। এখন এটা করা যেতে পারে যে একটি নির্দেষ্ট তারিখের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবে। অবশ্য অভিভাবক সচেতন না হলে তাতেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এখন অভিভাবকরা ভাবেন তার বাচ্চাকে এটা করতেই হবে, এই ফল আনতেই হবে। এটা একটা প্রেস্টিজিয়াস ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এই জায়গা থেকে তাদের সরে আসতে হবে।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারও মনে করছেন ‘উৎসব করে’ পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অনেক শিক্ষার্থীর ওপর।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো বাচ্চা যখন রেজাল্ট খারাপ করে, আর তার বন্ধু যখন রেজাল্ট ভালো করে সেটা যখন ফেসবুকে বা পত্রিকাতে আসে, তখন খারাপ করা শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা কাজ করে। সে এটা কাউকে বলতেও পারে না। এ জন্য আমরা অনেক সময় দেখি সুইসাইড পর্যন্ত করে ফেলছে। এটা দুঃখজনক।’

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ঘটা করে ফল প্রকাশের পেছনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকেও দায়ী করেছেন। তবে এর সঙ্গে একমত নন সাংবাদিক নেতা ও টিভি টুডের সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। তিনি বলছেন, পরিবার ও সামাজের অতিমাত্রায় সংবেদশীলতা ও অতিমাত্রায় কম সহনশীলতার কারণেই পরীক্ষার ফল নিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে কিন্তু এটা (কৃতীদের নিয়ে প্রতিবেদন) আরও বেশি হতো। তখন মেধা তালিকায় যারা প্রথম দশে থাকতেন বা স্ট্যান্ড করতেন তাদের ছবিসহ ছাপানো হতো। তারা কে কী হতে চান সেটাও জানানো হতো।

‘আমাদের বর্তমান স্পিকার যখন ফার্স্ট হলেন তখন তার ছবি ছাপানো হয়েছিল। তখন কিন্তু এখনকার মতো এত সংবেদনশীল হিসেবে দেখা হয়নি। এটা নতুন হচ্ছে তা নয়, বরং এটা আগে বেশি হতো। এটা আগের ধারাবাহিকতাতেই চলছে।’

এসএসসি ও এইচএসসি প্রথম পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষা বলে এটি উৎসবের মতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন যেটা হচ্ছে সেটা হলো একজন ছাত্র বা ছাত্রী ফেল করলে সে যেন অচ্ছুৎ হয়ে পড়ে। আগে এমন হতাশা বা আত্মহত্যা ছিল, তবে কম ছিল। এখনকার বাচ্চারা একসঙ্গে বড় হচ্ছে, মোবাইলের কারণে সবকিছু জানতে ও জানাতে পারছে।

‘ফল ছাপানোর ক্ষেত্রে তো আমি বাধা দিতে পারব না। পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট ছাপা হবে। সেখানে যারা ভালো করবে, সেটাও ছাপা হবে। যারা খারাপ করে সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তাই খবরের চেয়ে জরুরি হলো পরিবারকে শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে হবে।’

কারও সাফল্যের গল্প বা ভালো কিছু ছাপা বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে অকৃতকার্য হচ্ছে তার মধ্যে এটার প্রভাব পড়বে, কিন্তু এর মানে এই না যে সফল হচ্ছে তার কথা বলা আমি বন্ধ রাখতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর