অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য রেহানা রহমানের জামিন বহাল থাকলেও এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত।
রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এই আদেশ দেয়।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেম্বার আদালত শুনানি নিয়ে এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করেছেন। আর রেহানা রহমানের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। তবে রেহানা রহমানের জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করা হবে।’
১০ নভেম্বর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেয়।
আদালতে ওই দিন আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
২ আগস্ট এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ৫ মে দুদক কার্যালয়ে মামলা হয়। দুদকের করা এই মামলায় আসামি করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে। এ ছাড়া নর্থ সাউথের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিংয়ের আমিন মো. হিলালীকেও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান/গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন আসামিরা।
পরবর্তী সময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকজনের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন তারা। সেই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।