এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল দাবি করছেন, কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে তিনি আলোচিত প্রশ্নটি করেননি। নিজের 'কবিমন' থেকে অবচেতনভাবে কাজটি করেছেন।
এই প্রথম প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছেন দাবি করে তিনি বলছেন, এ বিষয়ে তার যথাযথ প্রশিক্ষণ ছিল না।
তবে যশোর শিক্ষা বোর্ড ও আন্তশিক্ষা বোর্ডের দাবি, প্রশান্ত কুমার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) থেকে প্রশিক্ষণ না পেলেও অন্য প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। তার প্রশ্নপত্র তৈরির অভিজ্ঞতাও নতুন নয়।
শিক্ষা বোর্ডসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এসএসসি বা এইচএসসির প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য নির্বাচিত শিক্ষকদের তালিকা রয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরিতে ৯টি শিক্ষা বোর্ডে নির্বাচিত শিক্ষক আছেন ৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতি বিষয়ের জন্য প্রতিটি বোর্ডে প্রশ্নপত্র তৈরির দায়িত্ব পান চারজন শিক্ষক। একইভাবে প্রতিটি বোর্ডে প্রতি বিষয়ের প্রশ্নপত্র মডারেট করেন আলাদা চারজন শিক্ষক।
এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্নপত্র
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক নিউজবাংলাকে জানান, প্রশ্নপত্র প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয় পরীক্ষার পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রাথমিক কার্যক্রম।
তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট থেকে শিক্ষকদের মান উন্নয়নের পরীক্ষা নেয়া হয় ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণে ভালো ফলের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী বা মডারেটর নিয়োগ দেয়া হয়।
অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা সাধারণত বেডুর ট্রেনিংকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এই ট্রেনিং মূলত প্রশ্নপত্র তৈরি ও মডারেশনের জন্যই দেয়া হয়। এটা থেকেই মাস্টার ট্রেইনার তৈরি হয়।’
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে বিতর্কিত প্রশ্নটি করেন ঝিনাইদহের শিক্ষক
অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে শুধু পাঠ্যবই-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা ওই সব বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান করে বেডু।’
তবে বেডু থেকে কোনো প্রশিক্ষণ পাননি বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন বিতর্কিত প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল।
ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমারের দাবি, এবারই প্রথম তিনি প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন এবং কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো পূর্ব নির্দেশনা দেয়নি।
যেসব দাবি করছেন প্রশান্ত কুমার
প্রশান্ত কুমার পাল বুধবার রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিষয়ে যদি কোনো সার্ভে বা জরিপ করেন তাহলে দেখবেন আমি ২২-২৩ বছর শিক্ষকতা করছি।
‘এই প্রথম আমি এইচএসসির প্রশ্ন করেছি, তাই আমি বুঝে উঠতে পারি নাই। আর আমার প্রশ্ন যে প্রথমবারেই সিলেক্ট হবে সেটাও ধারণা ছিল না। প্রশ্ন সেটার (প্রণয়নকারী) হিসেবে আমরা চারজন ছিলাম, এর মধ্যে আমারটাই সিলেক্ট হয়েছে।’
প্রশ্নপত্র মডারেশনের (পরিমার্জনের) দায়িত্বে থাকা চার শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন প্রশান্ত কুমার।
শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল। গ্রাফিক্স: মামুন হোসাইন/নিউজবাংলা
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ওপরে তো চারজন মডারেটর ছিলেন। আমি না হয় অবচেতন মনে, কবি হিসেবে কবিমন নিয়ে হয়তো কোনো উদ্দীপক তৈরি করেছি। প্রশ্নে যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো কিছু থাকে বা আপত্তিকর কিছু থাকে তাহলে তারা (মডারেটর) তো সেটা সংশোধন করবেন।
‘ওখানে (প্রাথমিক প্রশ্নপত্রে) আমার ফোন নম্বর দেয়া ছিল। আমাকে যদি ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন তাহলে আমি আরেকটা উদ্দীপক সেটআপ করতে পারতাম। আর এটা সাংঘর্ষিক হলে কেন তারা বাদ দেননি?’
আলোচিত প্রশ্নপত্রটি মডারেশনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
তাদের মধ্যে অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম দাবি করছেন, কাসালাং সেটের ১১ নং প্রশ্নের বিতর্কিত অংশ তারা বাতিল করেছিলেন। এর পরেও চূড়ান্ত প্রশ্নে তা থেকে যাওয়ার কারণ অজানা।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত প্রশ্ন: অভিযুক্ত শিক্ষক লাপাত্তা, দায় নিচ্ছেন না মডারেটর
রেজাউল করিম সম্প্রতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার চেয়ে সিনিয়র তিনজন মডারেটর আছেন। আমি সবার জুনিয়র। শোকজ করলে আমরা বিষয়টির জবাব দেব।
‘মডারেশনের সময় প্রশ্নটি আমরা দেখেই বুঝেছিলাম এতে বিতর্ক হতে পারে। সে জন্য আমরা প্রথমে উদ্দীপক ও প্রশ্ন পরিবর্তন করেছিলাম। আমি নিজেও একটি উদ্দীপক বানিয়েছিলাম। সেখানে হিন্দু-মুসলমান কিছু ছিল না।’
নিজেদের দায় নাকচ করে তিনি বলেন, ‘ওই প্রশ্নটি (বিতর্কিত প্রশ্ন) ছিল ১০ নম্বরে। আমরা সেটা কেটে দিয়ে (বাতিল করে) ১১ নম্বর প্রশ্ন দিয়েছিলাম। হাতে লেখা প্রশ্ন ফেলে দেয়ার নিয়ম নেই, তাই আমরা যুক্ত করে রেখেছিলাম। কিন্তু কীভাবে বাতিল করা উদ্দীপক ও প্রশ্ন ছাপা হলো, সেটা আমি জানি না।
‘২৪ বছর ধরে চাকরি করছি, এর মধ্যে ১২ বছর ধরে মডারেশন করছি। ভুল করার সুযোগ নেই।’
প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বিষয় যুক্ত করা ‘ভুল হয়েছে’ বলে স্বীকার করেন প্রশান্ত কুমার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে সে ব্যাপারে আমার ওপর তো কোনো নির্দেশনা ছিল না। আমি তো প্রথমবার করেছি। আমার কোনো ট্রেনিং নাই।’
‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট থেকে যে ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা আমি পাইনি। আমি শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার পর ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে আরও লোক ছিলেন, তারাও প্রশ্নপত্র করছিলেন। আমিও কাগজ নিয়ে লেখা শুরু করলাম।’
প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘ওই প্রশ্নটা (বিতর্কিত প্রশ্ন) ১১ নং প্রশ্ন আর শেষ প্রশ্ন ছিল। এর ওপরের প্রশ্নগুলো দেখবেন কত সুন্দর। আমার প্রশ্ন খারাপ হলে তো আর ওরা (মডারেটর) চয়েজ করতেন না। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, এটা আমি ভাবিও না।’
নিজেকে কবি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের (সাম্প্রদায়িক) কোনো মানসিকতায় পোষণ করি না। আমি সারা জীবনই অসাম্প্রদায়িক চেতনার লোক। ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করি না। আমার কাছে ধর্ম মুখ্য নয়, মানুষ মুখ্য।’
তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখার অনুরোধ জানিয়ে প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘সেখানে দেখতে পাবেন আমার দুই হাজার কবিতা আছে। সেখানে কোথাও কোনো সাম্প্রদায়িক কথা নেই। প্রশ্নের মধ্যে আমার নিজের লেখা কবিতাও আছে।’
প্রশ্ন প্রণয়নকারী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। প্রশান্ত কুমার বলেন ‘নিয়োগ পেতে আমি কাউকে ঘুষ দিইনি। আমি লেখালেখির মধ্যেই থাকি। বোর্ড থেকে অধ্যক্ষকে কল করেছিল। অধ্যক্ষ আমাকে বলেছেন, এরপর আমি প্রশ্নপত্র তৈরি করেছি।’
আরও পড়ুন: এইচএসসির প্রশ্নপত্র মডারেশনের পর সংশোধনের আর সুযোগ নেই
আলোচিত ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত কমিটি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জানিয়ে প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘আমাকে আমার যাবতীয় পেপার নিয়ে যেতে বলেছে। এখানে পেপারের মধ্যে আমার সমস্ত সার্টিফিকেট ও প্রশ্নের পাণ্ডুলিপি। নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, প্রশ্নের খসড়া, আমার লেখা বই, বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট ইত্যাদি থাকবে।’
প্রশান্ত কুমারের দাবি মানছে না শিক্ষা বোর্ড
প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা না পাওয়ার দাবি করছেন প্রশান্ত কুমার পাল। তবে এ অভিযোগ মানছে না শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ওনার প্রশিক্ষণের বিষয়ে তথ্য আছে। যশোর বোর্ড থেকে তার সব ধরনের ট্রেনিংয়ের কথা আমাদের জানানো হয়েছিল। সেভাবেই তার লিস্ট পাঠানো হয়।’
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘যশোর বোর্ড থেকে আমাদের জানানো হয়েছে তার (প্রশান্ত কুমার) টিচার্স কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ট্রেনিং আছে। সৃজনশীলের জন্য ট্রেনিং আছে। সেটা নিয়ে তিন দিনের ট্রেনিং হয় আবার ১২ দিনের একটা হয়। আমাদের সেচিপ (সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম)-এর বিভিন্ন প্রজেক্টের আওতায় এসব ট্রেনিং দেয়া হয়, এনসিটিবি থেকেও দেয়া হয়।’
তবে বেডুর ট্রেনিং প্রশান্ত কুমারের ছিল কিনা সেটি নিশ্চিত নন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার।
এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিতর্কিত প্রশ্ন নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলছেন, প্রশান্ত কুমার বেডুর প্রশিক্ষণ না পেলেও প্রয়োজনীয় অন্য প্রশিক্ষণ তার ছিল। প্রশান্ত এর আগেও প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জড়িত ছিলেন বলেও দাবি করছেন তিনি।
অধ্যাপক মাধব চন্দ্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার (প্রশান্ত) টিচার্স কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ট্রেনিং আছে। তিনি ২২ বছর ধরে শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান পরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। গতবারও তিনি প্রশ্ন তৈরি করেছেন। ২২ বছরের একজন শিক্ষক কীভাবে এমন প্রশ্ন তৈরি করতে পারলেন!’
প্রশান্ত কুমারকে নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শিক্ষতকার অভিজ্ঞতা, খাতা দেখার অভিজ্ঞতা, প্রধান পরীক্ষক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হয়েছে। উনি এর আগে একবার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। এগুলোর ভিত্তিতেই উনি এবার নিয়োগ পেয়েছেন।’
অধ্যাপক মাধব চন্দ্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তবে তিনি (প্রশান্ত) এবার বদলি নিয়োগ পেয়েছিলেন। যার কাজটি করার কথা ছিল সেই নারী শিক্ষক একটু অসুস্থ। আর বাংলার মাস্টার ট্রেইনার আছেনই ছয়জন বা আটজন। তাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজটি দিতে হয়। সব বোর্ডেই বাংলার এমন অবস্থা।
‘তাই যারা ফিল্ড ট্রেনিংয়ে আছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রশ্ন করার অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের নিয়েই প্রশ্ন করানো হয়।’
প্রশান্ত কুমারকে বাছাইয়েরে প্রক্রিয়া জানতে চাইলে ড. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তাকে নিয়োগ দিইনি। আমাকে বোর্ড থেকে বলেছে, তাকেও বলেছে। এরপর আমি তাকে ছুটি দিয়েছি।’
প্রশান্ত পালের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আছে দাবি করে বৃহস্পতিবার তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যা যা প্রশিক্ষণ আছে তার কাগজ নিয়ে তিনি আজ বোর্ডে গিয়েছেন। আমি জানি, তার টিচার্স কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ট্রেনিং আছে। তিনি আগেও প্রশ্নপত্র করেছেন। পরীক্ষার খাতা দেখছেন। বোর্ড জানে তার সব ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। তারাই তাকে সিলেক্ট করেছে।’