ছয় দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে আবার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার চাকরিপ্রার্থীরা।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই কথা জানান। সোমবার সকাল ১০টায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানানো হয় এতে।
এর আগে ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৭ দিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। তবে এই সময়ে তারা পিএসসি থেকে কোনো আশানুরূপ বক্তব্য পাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পিএসসির সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, গত সাত দিন অবস্থানে পিএসসি থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি কোনো আশাও দেয়া হয়নি, বরং বিভিন্নভাবে তাদের তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, 'আমাদের ছয় দফা না মেনে নেয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। গত দুই বছর ধরে আমাদের এক রকম কথা বলার পর হঠাৎ করে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা এখন অন্ধকার ভবিষ্যতে ধাবিত হচ্ছি।'
৪০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তাই বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পরে ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদের সংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
২. বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
৩. করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করতে হবে।
৪. যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২০২২ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।
৫. বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসি মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে।’ এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৬. গত এক যুগে পিএসসি যে স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।