বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিকে বদলিতে শর্ত শিথিল

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ২০:০৯

সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে, চারজন শিক্ষকবিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলি আবেদন করতে পারবেন এবং তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি নীতিমালায় সংশোধন আনা হয়েছে। বদলি শর্তের ৩.৩ ধারা শিথিল করা হয়েছে।

সিনিয়র সচিব মো আমিনুল ইসলাম সাক্ষরিত সংশোধিত নীতিমালা সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন শিক্ষক বদলির আবেদন শুরু হলেও নীতিমালা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় শিক্ষকদের মাঝে। আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৬ অক্টোবর করা হলেও নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য দাবি করেন শিক্ষকেরা।

এর আগে গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম গত তিন বছর বন্ধ থাকার পর অনলাইন বদলি চালু হয়। কিন্তু সমন্বিত বদলি নীতিমালা-২০২২-আনলেও খুব একটা সুফল পাননি শিক্ষকরা। তারা জানান, প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক আবেদনই করতে পারেননি।

দুই দফা আবেদনের সময় বাড়ানোর পর আবেদনের সংখ্যা না বাড়ায় ও শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা সংশোধন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেখা গেছে, নীতিমালার ৩.৩ ধারা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে পাঁচ জনের কম সংখ্যক শিক্ষক থাকলে বদলির জন্য শিক্ষকরা আবেদন করতে পারেননি। এছাড়া শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১ঃ৪০ শর্তের কারণে পাঁচ জনের বেশি শিক্ষক কর্মরত এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বদলির আবেদন করতে পারেননি। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করে আদেশ জারি করা হয়েছে।

সংশোধিত ধারামতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১ঃ ৪০ থাকার ধারা শিথিল করে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম -দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেই শিফটের শিক্ষার্থী হিসাব করে ১ঃ ৪০ নির্ধারণ করা হবে।

সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে, চারজন শিক্ষকবিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলি আবেদন করতে পারবেন এবং তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।

দেখা গেছে, এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের শর্তও শিথিল করা হয়েছে, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর ঠিকানা, বিধবা বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের আওতায় পড়বেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।

বর্তমান সংশোধিত নীতিমালার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক কোনো ঝামেলা ছাড়া বদলি হতে পারবেন। তবে আগের নীতিমালায় থাকা স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে বদলির যে সুযোগ ছিল তা সমন্বিত বদলি নীতিমালা বা সংশোধিত নীতিমালায় রাখা হয়নি। এতে কিছু কিছু শিক্ষকের বদলির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। নতুন করে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

অনলাইনে বদলি যেভাবে

বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। এরপর তা প্রাথমিকভাবে যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনিও আবেদনটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাচাই করে তা পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি সেটি যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর করে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি তখন বদলির বিষয়ে আদেশ জারি করবেন। এরপর শিক্ষক বদলির বিষয়টি অনলাইনেই জেনে যাবেন।

তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর