বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাবি মানার আশ্বাসে হলে ফিরলেন চবির ছাত্রীরা

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২২ ০৯:৪২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। তাদের দাবিপত্রে প্রশাসনের পক্ষে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। আমার স্বাক্ষরের পর ছাত্রীরা হলে ফিরে গেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নিলে প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করবে।’

নিরাপদ ক্যাম্পাস, সান্ধ্য আইন বাতিল, যৌন নিপিড়নে অভিযুক্তদের বিচারসহ চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেন।

বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। সাড়ে ৯টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সবাই অবস্থান নেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সব দাবি মেনে ছাত্রীদের চুক্তিপত্রে সই করেন। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। তাদের দাবিপত্রে প্রশাসনের পক্ষে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। আমার স্বাক্ষরের পর ছাত্রীরা হলে ফিরে গেছেন। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নিলে প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করবে।’

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো

১. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। হল থেকে বের হওয়া, প্রবেশ এবং মেডিক্যালে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়া যাবে না।

২. নতুন কার্যকরী যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করতে হবে। সেলে বিচার কার্যকর করতে সর্বোচ্চ সময়সীমা বাঁধা থাকবে এক মাস এবং সেটি না হলে সেল স্বয়ং শাস্তির বিধান গঠনতন্ত্রে থাকবে।

৩. ৪ কার্যদিবসের মধ্যে যৌন নিপীড়ন সেলে চলমান সব কেইসের বিচার করতে হবে।

৪. ৪ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফী নিতু বলেন, ‘আমরা যে চারটি দাবি দিয়েছি চার কার্যদিবসের মধ্যে যদি না মেনে নেয়, তাহলে প্রক্টরিয়াল বডি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। আর সেটি না করলে আমরা তাদের পদ থেকে নামাব।’

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিয়া নোলক বলেন, ‘প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে। এখানে কেউ কারো প্ররোচনায় আসেনি। এখানে সবাই নিজের দাবিতে এসেছে। সবাই নিরাপত্তা চায়। শিক্ষার্থীদের ১০টার পর হলে বন্ধ করে রাখা কোনো সমাধান না। আমাদের সমাধান হচ্ছে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করা।’

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা সনিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সান্ধ্য আইন করে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকানো আসলে ভুক্তভোগীদের নিয়ন্ত্রণ করা। এক বছর আগে আমাদের বান্ধবীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তার বিচার হলে এ রকম ঘটনা (যৌন নিপীড়ন) বারবার ঘটত না।’

এর আগে বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ছাত্রী ও তার বন্ধু প্রীতিলতা হলে ফেরার সময় কাছের একটি সড়কে কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করে। তাদের মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোপে নিয়ে যায়।

এ সময় ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

ছাত্রীর বন্ধু এর প্রতিবাদ করলে তাদের দুজনের ওপর নির্যাতন করা হয়। তাদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায় যুবকরা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন ছাত্রীরা। তারা এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর