চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়াকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদা ও সহকারী প্রক্টর ড. অরূপ বড়ুয়া।
এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে রাখা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামকে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর রবিউল হাসান। তিনি বলেন, ‘কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রী গত ১৭ জুলাই রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতর হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। হলের পাশের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি ও তার আরেক বন্ধু ছিলেন। তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ দিয়েছেন।’
প্রক্টর বলেন, ‘মৌখিকভাবে জানার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের কাজ চলছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।’
গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধু ও তাকে মারধর এবং মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয় বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ নজরে এনে গঠিত কমিটিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।