বিভাগীয় শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার ঢাবির বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ লাঘবে গত বছর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রাজধানীর বাইরে সাত বিভাগীয় শহরেও হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারও আমরা বিভাগীয় শহরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছি। এটি প্রতিষ্ঠিত রূপ লাভ করবে।
‘সামনের দিনগুলোতেও অভিজ্ঞতার আলোকে পরিশীলিত, সুন্দর এবং ভালোভাবে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানোর সুযোগটি ডিনবৃন্দ গ্রহণ করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও আমাদের এই পরীক্ষা সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।
‘তারা বলছেন, খুব সুন্দরভাবে, নির্বিঘ্নে এবং ভালো ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের ভর্তি পরীক্ষা তুমুল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা জড়িত। অস্ট্রেলিয়ার একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি টিম এসেছিল। যখন তাদের বললাম, লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, কিন্তু তার মধ্যে আমরা নিতে পারি শুধু কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এটি শুনে তারা বিস্মিত হয়েছেন।
‘তারা বলেছেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ যে সারা দেশ থেকে বাছাই করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।’
ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কে, কোন সংগঠন করবে এটি কিন্তু সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গভীরভাবে বিশ্বাসী। গণতন্ত্র, মানবিকতা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা এই মূল্যবোধগুলোর পরিচর্যা এবং লালনকেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়।
‘মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক মূল্যবোধে যারাই বিশ্বাস করবে, তাদের জন্য এটি অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলোকে উৎসাহ, অনুপ্রাণিত করে।’
উপাচার্যের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়েও জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। সকলে আমরা যখন একমত হতে পারব, সুন্দর পরিবেশ যখন পাব, তখন ডাকসু অনুষ্ঠিত হবে।
‘এটি একটি প্রত্যাশিত বিষয়। নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এটি খুবই জরুরি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় এগুলোকে প্রত্যাশা করে। এগুলো আমাদের অনুশীলন করা খুব জরুরি।’