গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এখন তা জুলাইয়ের শেষে ও আগস্টে নেয়া হবে। এছাড়া গত বছর পরীক্ষার ফি ছিল ১২০০ টাকা। এবার তা বৃদ্ধি করে এক হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি নির্দেশিকা তৈরি ও আবেদন শুরু করতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
সোমবার রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপাচার্যদের সভা শেষে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক।
অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জুলাই ‘ক’ ইউনিট, ১৩ আগস্ট ‘খ’ ইউনিট ও ২০ আগস্ট ‘গ’ ইউনিট অনুষ্ঠিত হবে। এবার পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। আর আবেদন ফি ধরা হয়েছে দেড় হাজার টাকা।
ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘গতবার পরীক্ষার্থী সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া হলেও এবার আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই পরীক্ষা দেয়া যাবে। এছাড়াও ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা একটি কেন্দ্র সিলেক্ট করবে এবং সেখানেই পরীক্ষা দিতে পারবে। আমরা এবার চেষ্টা করব একসঙ্গে ভর্তি কার্যক্রম চালাতে, যাতে ক্লাস শুরু করতে বিলম্ব না হয়। তাহলে ভর্তি কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।’
এর আগে গত ৮ এপ্রিল গুচ্ছের সমন্বয় কমিটির সভায় এই পদ্ধতিতে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ সেপ্টেম্বর, মানবিক ইউনিটে ১০ সেপ্টেম্বর এবং বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ সেপ্টেম্বর নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিয়েছিল। এবার এর সঙ্গে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও রয়েছে- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।