বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

  •    
  • ১২ আগস্ট, ২০২১ ১৯:২৩

ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘গত দেড় বছরে স্বাস্থ্য খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, আমরা সবাই দেখেছি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। সরকার ভাবছে শিক্ষার্থীরা যদি এসব নিয়ে ফুঁসে ওঠে, তাহলে সামাল দেয়া কঠিন হবে। এ ভয় থেকেই সরকার করোনার অজুহাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।’

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে।

মানববন্ধনে ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে দেশের সবকিছু খোলা রাখা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পেছনে কাজ করছে সরকারের ভয়।’

তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছরে স্বাস্থ্য খাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, আমরা সবাই দেখেছি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। সরকার ভাবছে শিক্ষার্থীরা যদি এসব নিয়ে ফুঁসে ওঠে, তাহলে সামাল দেয়া কঠিন হবে। এ ভয় থেকেই সরকার করোনার অজুহাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।’

বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে রাশেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বলা হয়েছে, সব শিক্ষার্থী টিকা পেলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখছি, চার লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র দুই লাখ শিক্ষার্থী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিতে পেরেছে ৭৯ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে প্রচলিত পদ্ধতিতে টিকা কার্যক্রম চললে এ বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আর আশ্বাসে বিশ্বাস রাখব না। শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকার আওতায় নিয়ে এসে সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সব ছাত্রসংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে জোরালো কর্মসূচি দেয়া হবে।’

ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশে সবকিছু চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ শিক্ষা মানুষের বিবেক এবং চোখ খুলে দেয়। এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। তরুণ যুবসমাজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে চায়৷ এ জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, যেন শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেতে না পারে৷ এর মধ্য দিয়ে একটা প্রজন্মকে সরকার মেরে ফেলতে চায়।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর