বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা’ কার্যক্রমের বর্ষপূর্তি

  •    
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ০১:৫১

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ১২টি জেলার ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে রোববার দুপুরে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে খাদ্যসামগ্রী এবং চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

দেশব্যাপী ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে এক বেলা খাবার এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ১২টি জেলার ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে রোববার দুপুরে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও, বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে খাদ্য এবং চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব চক্রবর্তী ও দীপম সাহার উদ্যোগে গত বছরের ২৫ জুলাই গোপালগঞ্জের হাইশুর বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম, ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী, তোয়ালে এবং একটি টেলিভিশন বিতরণের মাধ্যমে এই স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্মটির যাত্রা শুরু হয়।

হাইশুর বৃদ্ধাশ্রম থেকে যাত্রা শুরু হওয়া এই প্ল্যাটফর্মটি এখন পর্যন্ত দেশের ১২টি জেলায় অবস্থিত বৃদ্ধাশ্রমে চাহিদামতো ১৫-২০ দিনের খাদ্যসামগ্রী, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও প্রবীণদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করেছে। এ ছাড়া, ‘মুজিববর্ষের স্লোগান, তিনটি করে গাছ লাগান’ এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে প্রতিটি বৃদ্ধাশ্রমে ১০টি করে ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।

করোনা মহামারিতে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটানোর মাধ্যমে তাদের একাকিত্ব জীবনে মানবিক সঙ্গ দেয়া এবং সাইকোলজিস্টের সাহায্যে ‘টকিং কিউর’ পদ্ধতিতে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।

প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জ থেকে শুরু হলেও সংগঠনটি বর্তমানে ১২টি জেলার বৃদ্ধাশ্রমে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের এ কাজ প্রশংসনীয়। আমি এই কাজের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্তরের সচেতন নাগরিকদের এই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধাশ্রমগুলোর সেবার মান বাড়াতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির অন্যতম উদ্যোক্তা অপূর্ব চক্রবর্তী অপু বলেন, ‘করোনাকালীন সংকটে সমাজের অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের মতো দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর দিকেও যেন আমরা একটু দৃষ্টি দিই। তারাও কারও না কারোর বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন। নিজেদের ব্যক্তিগত সময় ও অর্থ ব্যয় করে আমরা বঙ্গবন্ধুর মানবিক আদর্শকে ধারণ করে এই কাজে ব্রত হয়েছি।’

আরেক উদ্যোক্তা দীপম সাহা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার ক্রান্তিলগ্নে সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী। এদের মধ্যে বৃদ্ধাশ্রমে যারা থাকেন তাদের একাকিত্ব, হতাশায় সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনাকালীন ভয়াবহতা। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হতে পারে মুজিবের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন ও মুজিববর্ষের সর্বোত্তম অঙ্গীকার।

এ বিভাগের আরো খবর