বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুনে স্বশরীরে পরীক্ষা নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • জবি প্রতিনিধি   
  • ২৫ মে, ২০২১ ০০:৪৭

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় বছর সময় নষ্ট হয়েছে। তা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে চাইব এবং অবশ্যই তা স্বশরীরে নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।’

জুনের শেষ দিকে স্বশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি। সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিনস কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় বছর সময় নষ্ট হয়েছে। তা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নিতে চাইব এবং অবশ্যই তা স্বশরীরে নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।’

ডিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে কী করা যায়, সেসব বিষয়ে কথা বলার জন্য সোমবার আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় প্রাথমিক একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ মের পর সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়াদ বাড়ালে পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মিটিং (৭ জুনের মধ্যে) করা হবে। মিটিংয়ের পর ১৫ জুনের মধ্যে সরকার বা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি সাপেক্ষে অনুমতি চেয়ে পরীক্ষা নেয়ার আবেদন করা হবে।

ডিনরা আরও জানান, ইতিমধ্যে নেয়া অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিকল্পনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও ফাইনাল একটা সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ডিনরা বসে নিবেন। কিন্তু একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আমরা সরকারকে চিঠি দেব যে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যত নিয়মকানুন আছে সবকিছু অনুসরণ করে পরীক্ষা নিতে চাই।

‘তবে তা অনলাইন পরীক্ষা নয়। কোনো ডিন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষপাতী নন। আমরা ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিব, যেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে যেমন প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে এমনভাবে আমরা রুটিন করব যেন ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি খুব বেশি না হয়। তো ঠিক সেইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফিজিক্যালি ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেয়া হবে।’

রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল আরও বলেন, ‘৩০ মে পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞাটা আছে। ৩০ মের পরে কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটা দেখে আমরা সরকারকে লিখব যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রদের নিয়ে আমরা পরীক্ষা নেব। যেহেতু আমাদের হল নেই, আমাদের সুবিধা আছে। অত গ্যাদারিংয়ের সমস্যা হবে না।

‘আর আমরা তো সব ফ্যাকাল্টি, সব ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা একই দিনে নিব না যাতে করে ক্যাম্পাসে গ্যাঞ্জাম না হয়। তো সেইটা মেনেই আমরা পরীক্ষাটা নিতে চাই। আমরা ১৫ জুন একটা ডেট রেখেছি ঠিকই তারপরও হয়তোবা একটু পিছিয়ে যেতে পারে। সর্বোচ্চ ৩০ জুনের মধ্যে আমরা এই কার্যক্রম শেষ করব।

‘এর মধ্যে যদি সরকার থেকে নির্দেশনা আসে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আর যদি নির্দেশনা না আসে, তাহলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৫ জুলাই থেকে পরীক্ষা নেয়া শুরু করব।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে করোনায় আটকে থাকা অনার্স ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা সম্প্রতি নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি নীল দলের

করোনাকালীন সংকট উত্তরণে অনলাইন কিংবা বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া এবং ক্লাস শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নীল দল (একাংশ)।

এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের সাধারণ সভার ছয়টি সিদ্ধান্ত অবহিতকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে।

সোমবার জবির নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিকের সই করা স্মারকলিপিটি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতা।

এ বিভাগের আরো খবর