বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে জবি শিক্ষক সমিতি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মে, ২০২১ ২১:২০

গত বছরের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নীল দলের একাংশ পায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৫টি পদের ১৪টি এবং অপর পদটি পায় নীলদলের অপর অংশ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার চার মাস পার হলেও নির্বাচন নিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি এখনও রয়েছে সমিতির কার্যকরী সংসদের দায়িত্বে। এ নিয়ে আবারও বিভক্তি দেখা দিয়েছে শিক্ষক নেতাদের মধ্যে।

শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে নীল দলের একাংশ পায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৫টি পদের ১৪টি এবং অপর পদটি পায় নীলদলের অপর অংশ।

এদিকে নির্বাচনের বিষয়ে ক্যাম্পাস খোলার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানান শিক্ষক সমিতির বর্তমান নেতারা। তারা বলছেন, সম্প্রতি অনলাইনে এক সভায় সর্ব সম্মতিক্রমেই তারা ক্যাম্পাস খোলার পর নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি তেমন কোনো নির্দেশনা না থাকায় নির্বাচন করছেন না বলে জানান তারা।

যদিও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে শুধু ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, তবে ক্যাম্পাসে বিভাগীয় ও দাপ্তরিক সব কাজ সচল থাকবে। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তর ও বিভাগীয় কাজ অব্যাহত আছে। এ ছাড়া করোনা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জাতীয় উৎসবেও অংশ নিচ্ছেন শিক্ষক সমিতি ও এর সদস্যরা। বিভিন্ন ইস্যুতে করছেন মানববন্ধনও।

বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের (সনাতন) সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, সাধারণত নিয়মানুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। যেহেতু করোনা সবকিছুর ঊর্ধ্বে, তাই বর্তমান কমিটি হয়তো অনলাইনে একটা মিটিং করে বৈধতা নিয়েছে কমিটির। তবে মোট ভোটার তো ৭০০ জন। তাদের সবাই অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিতে পারেন নাই। তবে এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজকর্ম চলছে। শিক্ষক সমিতিও বিভিন্ন প্রোগ্রাম করছে। তাহলে নির্বাচন দিতে সমস্যা কোথায়? আর নির্বাচনটা তো শিক্ষকদের। সব শিক্ষকই তো প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে আসছেন।

নীল দলের অপরাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক সমিতি ভাববে, নীল দল তো ভাববে না। আর একটা সাধারণ সভা হয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর নির্বাচন হবে, আমরাও এ সিদ্ধান্ত সমর্থন করি।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর আলম আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে একটা সাধারণ সভা করেছি। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে না দেয়া পর্যন্ত এ কমিটির মেয়াদ থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি করি এখন নির্বাচন করলে সরকারের নির্দেশ অমান্য করা হবে।’

তবে গত বছর ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। গত ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়েছে ১৫ মার্চ। ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন।

এ বিভাগের আরো খবর