আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের মধ্যে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার বিকেল ৪টা থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসে শহীদ তারেক হুদা হলের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। হলের সামনে তারা বিছানাপত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
হল খুলে না দেয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে সরবেন না বলে জানান তারা।
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার থেকে আমাদের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা দিতে শনিবার ঢাকা থেকে এসেছি। ক্যাম্পাসের আশপাশে কোথাও কোনো মেস খালি পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছি। হল খুলে না দেয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান করব।’
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি ভিসি ও হলের প্রভোস্টদের জানানো হয়েছে। ভিসি মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আসলেই কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি বুঝতে পারছি। আমরা চেষ্টা করছি সমাধানের।’
ছাত্রদের জন্য পাঁচটি ও ছাত্রীদের দুটিসহ চুয়েটে সাতটি হল রয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছেন। তারা প্রথমে ফজিলাতুন্নেসা হলের তালা ভেঙে ফেলেন। এরপর একে একে সুফিয়া কামাল হল ও প্রীতিলতা হলসহ মেয়েদের অন্যান্য হলগুলোর তালা ভেঙে সামনে এগোতে থাকেন তারা। পরে ছেলেদের আটটি হলের তালাও ভাঙা হয়।
জাবির শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আগে মেয়েদের হলের তালা ভেঙেছেন, কারণ মেয়েদের নিরাপত্তা জরুরি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে তালা ভাঙা হয়নি।
বিকেলে শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে মেয়েরা ফজিলাতুন্নেসা হলে থাকবেন। আর ছেলেরা থাকবেন আ ফ ম কামালউদ্দিন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মওলানা ভাসানী হলে। অন্য হলগুলোর তালা ভাঙা হলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রথম রাতে তারা এই চারটি হলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।