৩৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পেছাতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
করোনা মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা পেছাতে বলা হয়েছে নোটিশে।
ডিপিএড ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছয় শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বুধবার সংশ্লিষ্টদের নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (ন্যাপ) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ডিপিএড কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ তারিখ পিছিয়ে সুবিধাজনক সময়ে তারিখ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে আইনি নোটিশে।
নোটিশে ডিপিএড ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৩৪০০০ পরীক্ষার্থীর শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া কাঠামোগত মূল্যায়নের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবিও জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, প্রায় ৩৪ হাজার পরীক্ষার্থীর শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ডিপিএড কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষার জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিকালে দীর্ঘ সময় প্রশিক্ষণ স্থগিত থাকার পর গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্রশিক্ষণ ও পাঠদান শুরু হয় এবং ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয়।
কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুর্বল নেটওয়ার্ক বা কোনো কোনো স্থানে নেটওয়ার্ক না থাকায় দুর্বল ডাটা কানেকশন দিয়ে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণার্থী নিরবচ্ছিন্ন ক্লাস করতে সক্ষম হননি। ক্লাস করার মতো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও আইসিটিতে দক্ষতা না থাকায় অনেক প্রশিক্ষণার্থী অনলাইন পাঠদান কার্যক্রমে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
করোনার কারণে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার এবং সারা বিশ্বে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া পরীক্ষা হওয়ার বিষয়টি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, কিন্তু এখানে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, যে সিদ্ধান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ ঝুঁকিতে ফেলবে।