এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশে এ সংক্রান্ত আইন পরিবর্তনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।আরও পড়ুন: অটো পাসের বৈধতা দিতে আইন সংশোধন
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক। ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন প্রান্ত থেকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সচিবালয়ে প্রান্ত থেকে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অর্ডিন্যান্স করে আগামী বুধ, বৃহস্পতিবার বা শনিবারের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া যায় কি না সেটাই ছিল উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা। কারণ বিদ্যমান আইনে পরীক্ষা ছাড়া ফল ঘোষণার কোনো সুযোগ নেই।
সচিব বলেন, ‘আগের যে আইন আছে, ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, সেই আইনের বিধান হলো পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিতে হবে। কিন্তু এখন যেহেতু পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, উনারা যে পদ্ধতিতে রেজাল্ট সব রেডি করে রাখছে সেই পদ্ধতিতে ওনারা এখন অর্ডিন্যান্স করে রেজাল্ট দেবেন ৭, ৮, ১০ দিনের মধ্যে।’
তবে অধ্যাদেশ জারির নিয়ে আপত্তি তুলেছে মন্ত্রিসভা। কারণ হিসেবে সচিব বলেন, ‘কেবিনেটে আলোচনার পর দেখা গেল যে আর মাত্র ৬ দিন পরে সংসদ অধিবেশন। পার্লামেন্ট যেহেতু অলরেডি কল করা হয়ে গেছে, এ জন্য কেবিনেট সিদ্ধান্ত দিয়েছে অধ্যাদেশের আর দরকার নেই।
সচিব আরও জানান, ‘কেবিনেট সিদ্ধান্ত দিয়েছে এটা অর্ডিন্যান্স করার দরকার নেই। এটাকে সরাসরি ভেটিং সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হলো। পার্লামেন্টে গিয়ে ফার্স্ট দিনে পুট আপ করে তিন দিনের মধ্যে আইন করে ২০ তারিখ বা ম্যাক্সিমাম ২৮ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে দেয়া যাবে।’
করোনার সংকটের কারণে গত বছর তিনবার পরীক্ষার সূচি ঠিক করেও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। অক্টোবরে পরীক্ষা আর না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়।
জানানো হয়, এবার পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে আলাদা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।
এবার এইচএসসি ও সমমানে মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। আগে উত্তীর্ণ হয়ে আরও ভালো ফলের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ২৭ জনের।