বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাঙ্গনে ছুটি বাড়ল, বন্ধ ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৩:১১

গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর ধাপে ধাপে আরও চার দফা বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। এর আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তার আগের দিনই এল নতুন সিদ্ধান্ত।

করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফা বাড়ানো হলো ছুটি।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর পর ধাপে ধাপে আরও পাঁচ দফা বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। পঞ্চম দফার ঘোষণা অনুযায়ী অনুযায়ী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তার আগের দিনই এল নতুন সিদ্ধান্ত।

২৯ অক্টোবর চতুর্থ দফা যখন ছুটির দেয়ার বাড়ানো হয়, তখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত পরিসরে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হতে পারে।

তবে শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করে আসা সরকার আর ঝুঁকি নেয়নি।

স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কওমি মাদ্রাসা চালু আছে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত সাপেক্ষে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যদিও এখনও বিশ্ববিদ্যালগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়নি।

তবে সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা এসেছে। যদিও ছাত্রবাস বা হল বন্ধ থাকবে। এ নিয়েও অবশ্য তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হল বন্ধ থাকলে ছাত্ররা কোথায় থাকবে, এই প্রশ্নের সুরাহা হচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতিতে ক্লাস চলছে অনলাইনে ও টেলিভিশনের মাধ্যমে। তবে ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশই শিক্ষার বাইরে রয়ে গেছে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে। ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারায় তারা ক্লাস করতে পারেনি বলে বিশ্বব্যাংক ও ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: ধনীরা অনলাইনে, শিক্ষার বাইরে গরিব

শিক্ষা বিষয়ে কাজ করা সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশ-বিইআরএফ এর এক জরিপ বলছে, শহর এলাকায় ৩৭ শতাংশ শিশু অনলাইনে কোনো ক্লাসই করেনি। গ্রাম এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরীক্ষা নিতে না পারায় প্রথমে এইচএসসি ও পরে স্কুল পর্যায়ে সবাইকে পাস করানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। পরীক্ষা না নিয়ে স্কুলে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যদিও এতে পাস ফেলের কোনো শর্ত নেই। শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা জানতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় নতুন বৈষম্য অ্যাসাইনমেন্টে

তবে এই অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি শিক্ষায় নতুন বৈষম্য তৈরি করেছে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষাবিদরা। কারণ, গ্রামের স্কুলগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেই স্পষ্ট ধারণা নেই। ফলে কী পদ্ধতিতে কী হবে, সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের ঘটনা ঘটছে।

আরও পড়ুন: অ্যাসাইনমেন্টের নামে পকেট কাটছে স্কুল

এ নিয়ে গণমাধ্যমে নানা অভিযোগ আসার পর সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, কোনো টাকা নেয়া যাবে না। তারও কাছ থেকে টাকা নিলে তা ফেরত দিতে হবে। তবে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে, এমন ঘটনার কথা গণমাধ্যমে আসেনি।

এ বিভাগের আরো খবর