করোনার কারণে মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতি শিক্ষাবর্ষে আর খুলছে না।
সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। পরে কী হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, এবার স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। ফলে চলতি বছর আর স্কুল-কলেজ খোলার সম্ভাবনা নেই।
করোনার প্রকোপ গত এক মাসে কমে আসলেও শীতে ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের’ আশঙ্কা করছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঝুঁকি নিতে চাইছে না মন্ত্রণালয়।
- আরও পড়ুন: স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি জানতে আমরা কোভিড- বিষয়ক যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব। তাদের পরামর্শ ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা খুলে দেয়া হবে। তবে আগামী নভেম্বর খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
উচ্চ মাধ্যমিকের পর মাধ্যমিক পর্যায়েও পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
গত মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়ায়। সে সময় সামাজিক মাধ্যমে অভিভাবকরা ব্যাপকভাবে আপত্তি জানায়। বহুজনই বলেছেন, স্কুল খুললেও তারা সন্তানদের সেখানে পাঠাবেন না। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছুটির মেয়াদ তৃতীয় দফা বাড়িয়ে দেয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন মনে করব যে, আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বা খুবই সামান্য, হয়তো বা যে রিস্কটুকু নেয়া সম্ভব, সে রকম একটা অবস্থায় যদি যায়, তখন আমরা খুলতে পারব।’
- আরও পড়ুন: পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট কেন?
‘সেটি কবে হবে সেটি আমাদের কারও পক্ষেই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়’-বলেন মন্ত্রী।
করোনা মহামারিতে এবার এইচএসসির পাশাপাশি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নেয়া হবে না অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি পরীক্ষাও।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে, যদিও তাতে পাস ফেলের কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা দেখে পরের বছরের পাঠ্যক্রম ও কৌশল নির্ধারণেই এই অ্যাসাইনমেন্ট নেয়ার সিদ্ধান্ত।