দেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে এ সংখ্যাকে ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্প।
কক্সবাজারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রস্ক ফেইজ-২ প্রকল্পের প্রি-ভোকেশনাল ট্রেনিং কার্যক্রমের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব জনগোষ্ঠির দক্ষতা বাড়ানো, চাকুরির সুযোগ তৈরি এবং উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে রস্ক প্রকল্প। এ কর্মসূচির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পন্ডিত, রস্ক ফেইজ-২ প্রকল্পের পরিচালক মোঃ মাহবুব হাসান শাহীন এবং সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম অপারেশন্স) বন্দনা রিসাল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক থেকে শুরু করে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ ও গুণগত মান উন্নয়নের মাধ্যমে সবার জন্য যথাযথ চাকরি এবং উপযুক্ত কাজ নিশ্চিতকরণ।
তিনি বলেন, ঝরে পড়া ও অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা প্রাথমিক শিক্ষাচক্রে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, সেসব শিশুদের জন্য শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ তৈরি করেছে রস্ক প্রকল্প। এ প্রকল্প বাংলাদেশের ১৪৮টি উপজেলায় আনন্দ স্কুল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় ৬ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
গত ১০ বছরে শিক্ষাখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। ঝরে পড়া কমেছে অনেকাংশেই। বিনা মূল্যের বই বিতরণ, উপবৃত্তি দেওয়া, মিড ডে মিলসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের সুফল মিলছে এখন।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।