এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে এবং আগের দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন একজন পরীক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর দিন পরীক্ষার্থী শতাব্দী রায়ের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠান।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, চিন্তা ভবিষ্যৎ নিয়ে
শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং নয়টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
শতাব্দী রায় সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি হচ্ছে না, গড়ের ভিত্তিতে ফল
বুধবার করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জানান, এসএসসি এবং অষ্টম শ্রেণি সমাপনী জেএসসি পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়ন হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই ফল প্রকাশ হবে।
শতাব্দী রায়ের পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিসে এই পদ্ধতির বদলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের টেস্ট পরীক্ষার আলোকে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।
শতাব্দী জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করার প্রস্তুতি থাকলেও আগের কম জিপিএর কারণে তিনি ও তার মতো অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবেন।
শতাব্দী জেএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেলেও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে অসুস্থতার কারণে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেননি। মাধ্যমিকে তিনি জিপিএ ৪.২২ পান।
আরও পড়ুন: অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু
এই দুই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গড় করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কায় শতাব্দী।
অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরাও নতুন নীতিমালায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও নোটিসে বলা হয়েছে।
শতাব্দীর আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে নানা কারণে অনেকের পরীক্ষা ভালো হয়নি। এবার প্রস্তুতি ভালো থাকলেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন না। উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে তিনি বাধাগ্রস্ত হবেন। যা তাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’