অবশেষে ভারতে গেল বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ। রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশের প্রথম চালানে ভারতের পথে ১৮ টন (১৮ হাজার কেজি) ইলিশ।
প্রথম চালানের ইলিশগুলো ছয়টি ট্রাকে করে পৌঁছে বেনাপোল বন্দরে। পরে এই মাছের মান পরীক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য পড়ছে ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২০০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দু’হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। এই অনুমতির মেয়াদ ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে ইলিশের চালান বন্দরে আসার পর মান নিয়ন্ত্রণ যাচাই করে ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়।
আজ প্রথম চালানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ টন ইলিশ ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে যদি ইলিশবাহী আরও কোনো ট্রাক বন্দরে আসে তাদেরকেও ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, রপ্তানিকারকরা প্রতি কেজি ১০ ডলার মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা। এ পর্যন্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠান ১৮ টন ইলিশ ছাড়করণের উদ্দেশ্যে তাদের কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টম হাউজে জমা দিয়েছে। চালানের কাগজপত্র সঠিক পাওয়ায় আমাদের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১২ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ রপ্তানি হয়ে এসেছে। আগের সরকারগুলো একে বলত ‘উপহারের ইলিশ’। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভারতে ইলিশ পাঠানো প্রশ্নে আগে দেশের চাহিদা পূরণের উল্লেখ করে কিছুটা কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করে। পরে অবশ্য অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়।