বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবজির দামে অস্বস্তি, কমেছে মুরগির দাম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:৩৫

মৌসুম শেষ হওয়ায় বাজারে উপস্থিতি কমেছে শীতের সবজির। গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহও মন্দ নয়। তবে শীতের স্বস্তি গরমের শুরুতেই উবে গেছে বাজার থেকে। রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে সব সবজির দাম ছিল গড়পড়তা ৬০ টাকার মধ্যে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে সবজির দাম। বাজারভেদে বেশ কিছু সবজিতে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তে দেখা গেছে গতকাল। গতকাল বিভিন্ন বাজারে মুরগির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের পাল্লা গত সপ্তাহে দফায় দফায় বেড়ে ৩০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলার পর গতকাল একটু নেমেছে। গতকাল পেঁয়াজের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকার আশপাশে দেখা গেছে। আলুর দাম আগের মতোই। কোথাও কোথাও পরিমাণে বেশি কিনলে কিছু সম্মানী করছিলেন বিক্রেতারা। মাছের বাজারে দাম বেড়েছে আগেই, সেই দামেই স্থিতিশীল ছিল গতকাল। মুদিপণ্যেও দামের খুব একটা হেরফের দেখা যায়নি। তবে ভরা মৌসুমেও চালের দাম আগেই বেড়ে ক্রেতাদের অস্বস্তির জায়গায় পৌঁছেছে।

গতকাল শুক্রবার মিরপুর, তালতলা, শেওড়াপাড়া ও মহাখালীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম প্রায় সব জায়গাতেই বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, ধুন্দুল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া সজনে আরও বেড়ে ১৪০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকায় এবং কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহব্যাপী মুরগির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। সোনালি কক মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৬০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৬৩০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমলেও তা এখনো কিছুটা চড়া। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে এবং তা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দামের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের দামও আগের মতোই রয়েছে।

গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও কিছুটা বেড়েছে। এক ডজন লাল ডিম ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত মুদি দোকানের পণ্যের দাম

গতকাল মুদি বাজারে দেখা গেছে, কয়েকটি পণ্য বাদে সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকের বাজারে প্রতি কেজি ছোট মুসরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১০ টাকা, মাশকালাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, কাজু বাদাম ১ হাজার ৭০০ টাকা, পেস্তা বাদাম ২ হাজার ৭০০ টাকা, কাঠ বাদাম ১ হাজার ২২০ টাকা, কিশমিশ ৬০০-৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১ হাজার ৩০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১ হাজার ৬০০ টাকা, জিরা ৬০০ টাকা, প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মানভেদে ১১০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১২০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৭ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল প্রতি কেজিতে ছোট মুসরের ডালের দাম কমেছে ৫ টাকা, বুটের ডালের দাম কমেছে ১০ টাকা। আর প্রতি কেজিতে কাজু বাদামের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।

এ বিভাগের আরো খবর