বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংক চালু রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১ আগস্ট, ২০২৪ ২৩:০৫

এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংকের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট-নির্ভরতার পরিবর্তে অন্যভাবে চালানো যায় কিনা তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখছে।’

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতের করণীয় নিয়ে দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় এক ডজন ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চলমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হতে ব্যাংকারদের পরামর্শ দেন গভর্নর। যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখার কথাও বলেন তিনি।

জুলাইয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনে এক পর্যায়ে বন্ধ রাখতে হয়েছে দেশের সব ব্যাংক। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাংক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘সুইফট’ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের সব ব্যাংক। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এমনকি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি গ্রাহকরা।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত ও গ্রাহকদের ব্যাংকের টাকা নিয়ে নানা গুজব রটতে থাকে। পরে ব্যাংক খোলার পর গ্রাহকের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ে ব্যাংকের শাখাগুলোতে। একদিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ হিসেবে দেয়া হয় ২৫ হাজার কোটি টাকা।

উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাংকারদের সবল থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও কী করে ব্যাংকের সেবা চালু রাখা যায় তা নিয়ে জোর আলোচনা হয়েছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এজন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলেও ব্যাংকারদের জানানো হয়েছে।

বৈঠকে গভর্নর সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ব্যাংক খাতের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতদের বিষয়ে খবর নেন। সভায় ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোটা আন্দোলন ও তা ঘিরে সহিংসতায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চারজন কর্মী মারা গেছেন। ব্যাংকের বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। কয়েকটি শাখা ও দু-একটি এটিএম বুথে কিছু ক্ষয়ক্ষতির কথা জানানো হয় সভায়।

ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইন ব্যাংকিং পুরোপুরি বন্ধ হওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়। তবে এটিএম সেবা আংশিক চালু ছিলো বলে গভর্নরকে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পৃথক লাইন বা ইন্টারনেট ছাড়া কেবল লাইন দিয়ে ব্যাংক চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সম্প্রতি ভারতে ব্যাংকে সাইবার হামলা নিয়েও উদ্বিগ্ন অনেক ব্যাংক। তবে সাইবার হামলা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশের ব্যাংকে না হতে পারে সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

সভা শেষে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ-এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংকের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট-নির্ভরতার পরিবর্তে অন্যভাবে চালানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখছে।’

রেমিট্যান্স কমে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমবে-বাড়বে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর