কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে টানা পাঁচদিন বন্ধ ছিলো দেশের সব অফিস-আদালত ও ব্যাংক। পাশাপাশি বন্ধ ছিলো পুরো দেশের ইন্টারনেট সেবা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
সৃষ্ট স্থবিরতায় চরম বিপাকে পড়েন আমদানি ও রপ্তারিকারকরা। সময়মতো পণ্য শিপমেন্ট না হওয়ায় বন্দরে পড়ে ছিলো অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য। নিয়ম অনুযায়ী এর জন্য বিলম্ব মাশুল চার্জ করার কথা বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় সাত দিনের এই চার্জ মওকুফ করতে যাচ্ছে সরকার।
সহিংসতার সময়ের সাত দিনে পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে বন্দর ডেমারেজ চার্জ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংঘাতের কারণে হওয়া ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে রোববার সচিবালয়ে বৈঠকের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদও সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ও দেশে চলমান সংকটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে যাওয়া পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত পণ্য খালাসকালে আরোপিত ডেমারেজ চার্জ মওকুফের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোববার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে চার্জ মওকুফের বিষয়ে অনুরোধ করা হলে প্রতিমন্ত্রী সম্মত হন।
নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের দাবি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কিছু অর্থ মন্ত্রণালয় আবার কিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। সেগুলো তারা আমাকে অবহিত করেছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এসবের সমাধান করা হবে।’
তৈরি পোশাক শিল্পকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে তার মন্ত্রণালয় প্রস্তুত বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ইতোমধ্যে প্রায় দশ কোটি টাকার বেশি পোর্ট ডেমারেজ চার্জ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকদের ওপর ধার্য হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রামে বন্দরে আমদানি পণ্যবাহী প্রায় ৩৭ হাজার কন্টেইনার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এর বেশিরভাগই তৈরি পোশাক শিল্প-সংশ্লিষ্টদের।