আন্তর্জাতিক সংস্থা মাস্টারকার্ড ইকোনমিক্স ইনস্টিটিউট- এমইআই ‘ইকোনমিক আউটলুক-২০২৪’ তে উঠে এলো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক গল্প। সংস্থাটি পূর্বাভাস বলছে, আগামী বছর বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ৪৬টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ।
তাদের হিসাবে, আসন্ন বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। যা তাদের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের ওপরে থাকবে কেবল ভারত। দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ভিয়েতনামকে, যে দেশের প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২ শতাংশে।
সম্প্রতি এমইআই আগামী বছরের জন্য ‘অর্থনৈতিক আউটলুক: ভারসাম্য মূল্য ও অগ্রাধিকার’ প্রকাশ করেছে। যদিও প্রবৃদ্ধি নিয়ে এমইআইয়ের পূর্বানুমান বাংলাদেশ সরকারের চেয়ে বেশ খানিকটা কম।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। আগামী অর্থবছর নিয়ে অবশ্য আন্তর্জাতিক দুই দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফও পূর্বাভাস জানিয়েছে। তাদের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী আগামী বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৬ শতাংশ।
তবে বর্তমান দুশ্চিন্তার মূল জায়গা মূল্যস্ফীতি নিয়ে খুব বড় সুখবর নেই এমইআইয়ের পূর্বাভাসে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। যে বছর পুরো বিশ্বে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২ শতাংশ। সেই হিসাবে অবশ্য বেশ খানিকটা কমে আসবে মূল্যস্ফীতি।
এমইআই আরও বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়বে। এ সময়ে মানুষ বাইরে খাওয়া কিছুটা বাড়াবে। তবে এ বছর মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পাবে বলেই মনে করে এমইআই। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার পেছনে মজুরি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ্য করেছে সংস্থাটি।