বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্ধিত মজুরি ডিসেম্বরে কার্যকর করা কঠিন, বলছেন মালিকরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৪

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫/৬ মাস আগে মালিকদের জানাতে হবে। তাহলে আমরাও ক্রেতাদের সঙ্গে দাম বাড়িয়ে কথা বলতে পারব। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ কারখানার ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত মজুরি দেয়ার সামর্থ্য নেই।’

পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। মালিক পক্ষের করা সবশেষ প্রস্তাবও ছিল এটাই। আর নতুন মজুরি আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণে মালিকদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে- এমনটা বলছেন শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা। তারপরও পোশাক কারখানার মালিকদের অনেকে বক্তব্য- ডিসেম্বর মাস থেকে তাদের পক্ষে বর্ধিত মজুরি দেয়া সম্ভব হবে না।

তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র জেষ্ঠ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি শুধু হেলপারদের জন্য। যারা এখটু অভিজ্ঞ তারা আরও বেশি মজুরি পাবেন। সাড়ে বারো হাজার মজুরির সঙ্গে ওভারটাইম ধরলে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা শুরুতেই পাবে একজন শ্রমিক।’

তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ মনে করে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেতন বাড়ানোর সামর্থ্য নেই বেশিরভাগ কারখানার। তারপরও শ্রমিকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা প্রায় ৫৬ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি মেনে নিয়েছি।

‘ইতোমধ্যে পোশাক কারখানা মালিকরা ক্রেতাদের ডিসেম্বর থেকে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। তবে তারা এখনও বাড়তি দাম দিতে রাজি নয়। যারা আগে অর্ডার করেছে তারা বাড়তি দাম দেবে না বলেই আমাদের জানিয়ে দিয়েছে।’

তৈরি পোশাক খাতের আরেক সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিজেই ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত এই মজুরি দিতে সামর্থ্যবান নন বলে নিউজবাংলাকে জানান।

তিনি বলেন, ‘মজুরি বাড়তেই পারে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫/৬ মাস আগে থেকে মালিকদের জানাতে হবে। তাহলে আমরাও ক্রেতাদের সঙ্গে দাম বাড়িয়ে কথা বলতে পারব। এখন ঘোষণা দিয়ে আগামী মাস থেকে কার্যকর কিভাবে করা সম্ভব তা আমার জানা নেই।

‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক কারখানা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বেতন বাড়ালে আরও অনেক কারখানা বন্ধ হতে পারে।’

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ কারখানার ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত মজুরি দেয়ার সামর্থ্য নেই। হয়ত ৫/১০ শতাংশ কারখানা দিতে পারবে। তবে আমি পারব না, এটাই মনে হচ্ছে।’

বর্ধিত মজুরি না দিলে শ্রমিক আন্দোলন বাড়ার শঙ্কা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা আন্দোলন করলে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। তবে আমার মনে হয় না কোনো শ্রমিক আন্দোলন করছে। বাইরের কিছু স্বার্থবাদী মহল শ্রমিকদের উস্কানি দিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর