বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের রিজার্ভ আসলে কত?

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৩ জুলাই, ২০২৩ ১৯:০১

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতিতে হিসাব করে রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ আসলে কত, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতি মেনে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতিতে হিসাব করে রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। সেক্ষেত্রে দেশের রিজার্ভ আসলে কত, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

বৃহস্পতিবার আইএমএফ ও নিজেদের পদ্ধতির হিসাব দুটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজেদের পদ্ধতিতে দেশের রিজার্ভের হিসাব করে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) পদ্ধতি অনুসরণ করে রিজার্ভের হিসাব করতে বাংলাদেশ সরকার তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরামর্শ দিয়ে আসছিল আইএমএফ।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ বছরের মে মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৬ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

আমদানি দায় পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে ঘাটতি দেখা দেয়। সেই ঘাটতি সামাল দিতে এ বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পেতে সমঝোতা করে বাংলাদেশ। ঋণ সমঝোতার পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে পরামর্শ আসে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। পরে বাংলাদেশ আইএমএফের সে পরামর্শ মানতে রাজি হয়।

স্বাধীনতার পর থেকেই মোট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আইএমএফ এই হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের যুক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংক মোট যে রিজার্ভের হিসাব দিচ্ছে, তাতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ), শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ২০ কোটি ডলার ঋণসহ অন্য কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত দেখানো হচ্ছে।

আইএমএফ বলছে, এটা রিজার্ভের নিট বা প্রকৃত হিসাব নয়। কেননা, এই মুহূর্তে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভ থেকে যে অর্থ অন্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে বা ঋণ দেয়া হয়েছে, তা ব্যবহার করতে পারবে না। আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য রিজার্ভের যে অর্থ তাৎক্ষণিক খরচ করা যাবে, সেটাকেই প্রকৃত রিজার্ভ হিসেবে হিসাব করতে বলে আসছিল আইএমএফ।

এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি আমলে না নিলেও ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের সময় এটি শর্তের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়ায় আইএমএফের এ শর্তটি এখন বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হচ্ছে সরকারকে।

বৃহস্পতিবার অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে ‘গ্রস রিজার্ভ’ ও ‘বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুসরণ করে দুই ধরনের রিজার্ভের তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে।

তাতে দেখা যায়, বুধবার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ফর্মুলার হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

প্রথমবারের মতো একসঙ্গে রিজার্ভের এই দুই ধরনের তথ্য প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবের ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে ইডিএফ তহবিল, শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ২০ কোটি ডলার এবং কয়েকটি প্রকল্পে দেয়া ঋণসহ ৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে বিপিএম-৬ ফর্মুলা অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর