বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০০:০৬

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণে ডলার বিক্রি করলেও, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সাত দফায় মোট ৮১ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সংবাদ মাধ্যমকে এ সব তথ্য জানান।

আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। তার মতে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার কেনাকাটা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। প্রতিটি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনেছিল- ১৩ জুলাই- ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই- একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই- ১২১ দশমিক ৯৫ টাকায় ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট- ১২১ দশমিক ৩৫ থেকে ১২১ দশমিক ৫০ টাকায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট- ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ দশমিক ৪৭ থেকে ১২১ দশমিক ৫০ টাকায় মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২ সেপ্টেম্বর- ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং আজ ৪ সেপ্টেম্বর ৫টি ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হলো ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া, দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। আর জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর