কাঁচামরিচের দাম লাগামহীন বেড়ে চলেছে। রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এ অবস্থায় দামে লাগাম টানতে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রোববার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। আর মহল্লার দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।
খুচরায় ২৫০ গ্রাম কিনলে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও আধা কেজি কিনলে বিক্রেতারা নিচ্ছেন ১৫০ টাকা। ১০০ গ্রাম নিলে দাম রাখছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, ‘দেশে এ সময়ে মরিচের উৎপাদন কমে আসে। বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ শাখা জানিয়েছে, বাজারে কাঁচামরিচের দাম ২৫০ টাকার উপরে উঠে গেছে, যা অন্য সময়ের দামের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে, দ্রুত বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমে আসবে।
সংঘনিরোধ শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কথা বলে আমাদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হয়েছে।’
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের সীমান্ত এলাকার বাজারগুলোতে কাঁচামরিচের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। তাতে ভারতীয় কাঁচামরিচ দেশে এলে সব খরচ বাদ দিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
রাজধানীর বাদামতলীভিত্তিক আমদানিকারক মো. কামারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। অনুমতির পর একদিনের মধ্যে দেশের বাজারে আমদানি করা কাঁচামরিচ চলে আসবে।’