বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ মার্চ, ২০২৩ ১৬:০৮

লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতিপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধু সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।’

তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সিগারেটের নিম্ন স্ল্যাব দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছে দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো।

রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি লিখিত বক্তব্যে দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত হতে। আর এই খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত হতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সকল সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন।

“শুধু দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘Made in Bangladesh’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে আমরাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চাই।”

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করে বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধু মধ্যম এবং উচ্চ স্তরে তৈরি করা যাবে। নিম্ন স্তরে কোনো বিদেশি ব্র্যান্ড আমরা অ্যালাউ করব না, এটা শুধু দেশি শিল্পের জন্য, দেশি ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।’”

এই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতিপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধু সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ খাতে সরকারের চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ খাতের ব্যবসায়িক লাভ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ডিভিডেন্ট হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই লাভের কোনো অংশ দেশের অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করে না। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানির লাভ দেশেই থেকে যায় এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব সঞ্চারি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে লাকি বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নীতি অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্ন স্ল্যাবের ব্র্যান্ড শুধু শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এর মূল্য বৃদ্ধি না করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিতে হবে।’

তিনি সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বণ্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর