নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময় পার করে রপ্তানি আয় দেশে আনলে যে তারিখে তা দেশে আসার কথা ছিল, সে সময়ের রপ্তানি বিলের দর ধরে রপ্তানিকারকদের বিল পরিশোধ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর সব অথরাইজড ডিলারস শাখায় পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে না আনলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সঠিক সময়ে রপ্তানি আয় দেশে আনার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি নগদায়ন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকরা নতুন দরে রপ্তানি আয় পাবেন না।
রপ্তানি আয় ১২০ দিনের মধ্যে দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় আনতে না পারলে আগের দরই পাবেন তারা। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে যোগাযোগ করা হলে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ধীরে ধীরে রপ্তানি আয়ের দর বাড়ছে। ডলার সংকট মোকাবিলায় সময়ের সঙ্গে রপ্তানি বিলের আয় বাড়ানো হচ্ছে। ফলে অনেক রপ্তানিকারক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানি বিল আনছেন না।
বর্তমানে ১০৪ টাকা দরে রপ্তানি বিল নগদায়ন করা হচ্ছে, যা কয়েক মাস আগেও ছিল ৯৯ টাকা। ধীরে ধীরে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ ১০৩ টাকায় রপ্তানি বিল নগদায়ন করা হচ্ছিল। গত সপ্তাহে আরও ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা করা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দাম বাড়ার কারণে অনেক রপ্তানিকারক দেশে রপ্তানি আয় আনতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করছেন। এর ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।