সপ্তাহের শুরুটা আলো ঝলমলে হলেও দ্বিতীয় দিনেই কিছুটা নিম্নমুখী ধারায় লেনদেন হলো শেয়ারবাজারে।
কয়েক দিনের উত্থানের পর কিছুটা প্রফিট টেকিংয়ের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার সূচক কমলেও লেনদেন ফের ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৭১৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২ কোটি ৪৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা বেশি। আগের দিন রোববার হাতবদল হয় ৭১১ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার।
দু দিনে যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে, এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কর্মদিবস আগে ১৪ নভেম্বর। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
৩১ জুলাই দ্বিতীয় বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর উত্থান দেখা দিলেও গত নভেম্বরের অর্ধেক পার হওয়ার পর ফের মন্দা ভর করে।
সর্বশেষ হাজার কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছিল ৯ নভেম্বর। এর পরের তিন কর্মদিবস ১০, ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ৭০০ কোটির ঘরে লেনদেন হলেও ধীরে ধীরে লেনদেন নেমে আসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটির ঘরে।
নতুন বছরে বাজার ভালো হবে বলে আশার কথা শুনিয়েছিলেন বাজারের-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল। বছরের প্রথম তিন দিন আশার প্রতিফলন দেখা যায়নি।
এরপর ৪ জানুয়ারি বিএসইসি বাজার-সংশ্লিষ্টদের মোর্চা ও তাদের প্রতিনিধিদের ডেকে বৈঠক করে। সেখানে বলা হয়, বাজার ভালো করতে সবাইকে মাঠে নামতে হবে। স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস তোলা হবে না।
বৈঠকের পরের দু দিন বাজারে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখা গেলেও পরবর্তী পাঁচ দিন বাড়ল লেনদেন।
এর আগে টানা চারদিন সূচক বাড়লেও সোমবার ৪ পয়েন্ট কমে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে।
আগের দিন ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচক উঠেছিল ৬ হাজার ২৫০ পয়েন্টে। যা ১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে বেশি ছিল ১৫ ডিসেম্বর, ৬ হাজার ২৫৬ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির তুলনায় দরপতন হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১১৬। বিপরীতে অপরিবর্তিত দরে লেনদেনের সংখ্যা কমেছে। আগের দরে হাতবদল হয়েছে ১৭৫টির। যার দুই-একটি বাদে প্রায় সবই ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১৯০।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন উত্থানের পর আজ একটু প্রফিট টেকিং হয়েছে। এ জন্যই সামান্য পরিমাণে সূচক কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘সূচক সামান্য কমলেও নেতিবাচকভাবে নেয়ার কিছু নেই। বাজারের বর্তমান অবস্থায় সূচক ও লেনদেন মিলিয়ে ইতিবাচকই রয়েছে।’