বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরিষায় ঝোঁক মাদারীপুরের চাষিদের

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৩

চাষিদের ভাষ্য, প্রয়োজনীয় উপকরণ আর প্রণোদনা পেলে ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো যাবে সরিষার চাষাবাদ। অন্যদিকে মিলমালিকরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় তৈরি হবে নতুন নতুন কারখানা; বাড়বে কর্মসংস্থান।

চাহিদা বাড়ায় দেশীয় সরিষা আবাদে ঝুঁকেছেন মাদারীপুরের চাষিরা। গতবারের তুলনায় এবার জেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর বেশি জমিতে ফসলটি আবাদ হয়েছে।

চাষিদের ভাষ্য, প্রয়োজনীয় উপকরণ আর প্রণোদনা পেলে ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো যাবে সরিষার চাষাবাদ।

অন্যদিকে মিলমালিকরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় তৈরি হবে নতুন নতুন কারখানা, বাড়বে কর্মসংস্থান।

মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার মাঠ ছেয়ে আছে হলুদে। অনেকে দলবেঁধে সরিষা ফুল দেখতে এসেছেন। কেউ কেউ আবার এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন। আবদুর রহমান নামের এক চাষি বলেন, ‘সয়াবিন, পাম তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার সরিষার আবাদ বাড়িয়েছি। গতবার আমি দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এবার সেখানে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছি।

‘গতবারও সরিষা বিক্রি করেছি, তবে এবার আরও বেশি বিক্রি করতে পারব, কিন্তু সার, বীজ ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে অনেক।’

নূর মোহাম্মদ হাওলাদার নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘অন্য তেল খাইতে চাই না। সরিষার তেল খেতেও ভালো, কিন্তু চাষ করে লাভ হয় না। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতাও পাই না।

‘এবার শুনেছি বীজ দিয়েছে, তবে আমি পাই নাই। এ কারণে নিজের খরচ দিয়েই চাষ করেছি; ফলনও ভালো হয়েছে। বাকিটা ফসল উঠলে দেখা যাবে।’

মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৩ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হলেও এবার ১৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ফসলটির আবাদ হয়েছে।

পুরানবাজার বিসিক শিল্প নগরীর তেলের মিল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এখন সরিষা তেলের চাহিদা বেড়েছে, যে কারণে আগের তুলনায় অনেক বেশি তেল ভাঙানো হয়। প্রতি মৌসুমে যে পরিমাণ সরিষার তেল তৈরি করা হয়, এবার মনে হয় আরও বেশি হবে।

‘তাই সরিষাচাষিদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়ার জোর দাবি করছি। তেলের চাহিদা বাড়লে আমাদেরও ব্যবসা ভালো হয়; কর্মচারীও বাড়াতে পারি।’

মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দিগ্বিজয় হাজরা বলেন, ‘ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে দেশীয় সরিষার আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার। ফলে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার ও বীজ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে আগামী বছর ফসলটির চাষ আরও বাড়বে। আমরা চেষ্টা করছি চাষিদের পাশে দাঁড়াতে।’

এ বিভাগের আরো খবর