বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিটার্ন জমা সাড়ে ২৮ লাখ, কর আদায় ৪ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:১৯

দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) ৮৪ লাখের বেশি। সে হিসাবে নিবন্ধিত করদাতার মাত্র ৩৩ শতাংশ রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়েছে আড়াই লাখ। চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে বাকি ৬৭ শতাংশই সাড়া দেয়নি।

ব্যাংকঋণ, গাড়ি কেনাসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণে রিটার্নের সঙ্গে ‘প্রাপ্তি স্বীকারপত্র’ দেখানো বাধ্যতামূলক করার পরও আয়কর রিটার্ন জমা প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাময়িক হিসাবে এবার আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে মোট সাড়ে ২৮ লাখ। এর বিপরীতে কর আদায় হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।

দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) ৮৪ লাখের বেশি। সে হিসাবে নিবন্ধিত করদাতার মাত্র ৩৩ শতাংশ রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এবার অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়েছে আড়াই লাখ। চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে বাকি ৬৭ শতাংশই সাড়া দেয়নি।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে বা সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করাতে, ক্রেডিট কার্ড নিতে, ব্যাংক ঋণ নেয়া, বাড়ি-গাড়ি কেনাসহ ৩৯ ধরনের সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সঙ্গে প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি টিআইএনধারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বাজেটের এ পদক্ষেপ কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছিলেন, এবার রিটার্ন সংখ্যা কমপক্ষে ৩৫ লাখ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

অবশ্য গত বারের তুলনায় বেড়েছে। গত করবর্ষে রিটার্ন জমা পড়েছিল ২৫ লাখ। এর বিপরীতে কর আদায় হয় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার রিটার্ন বেড়েছে ২৪ শতাংশ।

এনবিআরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ‍নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিট পিটিশন (সময় চেয়ে আবেদন) জমা পড়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার। আবেদনগুলো সবই গ্রহণ করা হবে। ফলে রিটার্ন জমার সংখ্যা আরও বাড়বে।

ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। বিশেষ বিবেচনায় একদিন বাড়িয়ে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা নেয়া হয়।

করোনা মহামারি বিবেচনায় এ বছর আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারা দেশে ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে জাতীয় কর দিবস ৩০ নভেম্বর রিটার্ন জমার শেষ দিন ধার্য্য করা হয়।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৬ লাখ। এর বিপরীতে ওই বছর রিটার্ন জমা পড়ে প্রায় ১১ লাখ।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৪ লাখ। এর বিপরীতে রিটার্ন জমা পড়ে ২৫ লাখ।

জানা গেছে, ৯০ শতাংশ রিটার্ন জমা পড়েছে ব্যক্তিশ্রেণী করদাতা খাতে। মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোম্পানি রিটার্ন জমা দিয়েছে।

বর্তমানে নিবন্ধিত করদাতার মধ্যে ৬৭ শতাংশ ব্যক্তিকরদাতা, ২৯ শতাংশ বেতনভোগী, ৩ শতাংশ কোম্পানি ও এক শতাংশ ফার্ম।

যোগাযোগ করা হলে এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ‘সামর্থ্যবানদের বেশির ভাগই এখনও করের আওতার বাইরে। এদের আওতায় আনতে হলে প্রয়োজন কর শিক্ষার প্রচার ও করদাতার আস্থা অর্জন করা। আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ পদ্ধতি অনলাইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি কর আইন আরও সহজ করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর