পরিবেশবান্ধব গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার স্বীকৃতির দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা ১৮০টি।
সর্বশেষ তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেড ও ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড সবুজ পোশাক কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে।
মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, ‘আরও দুটি কারখানা গ্রিন সার্টিফায়েড হয়েছে। এ নিয়ে গ্রিন সার্টিফায়েড কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮০টিতে।
‘এ বছর আমাদের সর্বোচ্চ ১৩টি প্লাটিনাম সার্টিফায়েড ফ্যাক্টরি হয়েছে। পাশাপাশি গোল্ড, সিলভার এবং প্লাটিনাম মিলে এ বছর ২৮টি প্রতিষ্ঠান সবুজ কারখানার সনদ পেয়েছে। আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন সার্টিফায়েডের তালিকায় ঢোকার অপেক্ষায়।’
নতুন সনদ পাওয়া কোম্পানি দুটির মধ্যে গোল্ড লিড সার্টিফায়েড গ্রিন গার্মেন্টস অব বাংলাদেশ সনদ পাওয়া ভিক্টোরিয়া ইন্টিমেটস লিমিটেডের যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালে। গাজীপুর শ্রীপুরের দক্ষিণ ভাংগনাটি বৈরাগিরচালায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি ৬২ পয়েন্ট পেয়ে ১২ ডিসেম্বর সনদ পেয়েছে।
আর ড্রেসডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৩ ডিসেম্বর ৬৮ পয়েন্ট পেয়ে গোল্ড সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।
তার আগের মাস নভেম্বরে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) ও বর্ণালী কালেকশনস লিমিটেড লিড গ্রিন ফ্যাক্টরির স্বীকৃতি পেয়েছে।
পোশাক কারখানায় সবুজ সংকেতের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। বাংলাদেশের ৫৮টি পোশাক কারখানা প্লাটিনাম রেটিং, ১০৮টি গোল্ড রেটিং ও ১০টি সিলভার রেটিং পেয়েছে। চারটি কারখানা রেটিং না পেলেও সনদ পেয়েছে।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এক বছরে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্লাটিনাম সবুজ কারখানার স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বৈশ্বিক বাজারে যখন বাংলাদেশি পোশাকের অর্ডার কমে যাচ্ছে, তখন এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।
‘নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব টেকসই কারখানা তৈরির জন্য যা যা করণীয় অনেক দিন ধরে আমরা সেটি করে আসছি। এর ফলে বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে এবং তারাও আমাদের সহযোগিতা করছেন।’