বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোনাহাট স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় ভুটান

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:২৪

ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সোনাহাট স্থলবন্দর ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে ভুটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্য সহজ হবে এবং উভয় দেশই উপকৃত হবে।’

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার দেশের উত্তরাঞ্চলের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান।

ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সোনাহাট স্থল বন্দর ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে ভুটান ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে বাণিজ্য সহজ হবে এবং উভয় দেশই উপকৃত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দর কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত। ২০১৮ সালে চালু হওয়া এই বন্দর দিয়ে প্রধানত ভারত থেকে পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয়। তবে কিছু রপ্তানিও হয়।

ভুটান ও ভারতের মধ্যে স্থলপথে সোনাহাট বন্দর সচল থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে নেই। ভুটান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে এই বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে কমলা লেবু রপ্তানি করে থাকে ভুটান। এখন ফলের মৌসুম। বাংলাদেশের আমদানিকারকদের এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে ফল আমদানি স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া ভুটান উন্নত মানের মিনারেল ওয়াটার রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ চাইলে ভুটান থেকে মিনারেল ওয়াটার আমদানি করতে পারবে।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ভুটান। সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশকে ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দেয়, যা বাংলাদেশের মানুষ সব সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। ভুটানকে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

টিপু মুনশি জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ভুটানের সঙ্গে প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ, যা গত জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ চুক্তির ফলে উভয় দেশই বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই উভয় দেশ এসআরও জারি করেছে। এ চুক্তির ফলে ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এবং বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে মেডিক‍্যাল, প্রকৌশল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) বিশ্ব মানের ডিগ্রি দিয়ে আসছে। ভুটানে বাংলাদেশের আইসিএবি উন্নত ও আধুনিক হিসাব শিক্ষা পরিচালনা করতে পারে।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় এক কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভুটানে। একই বছরে আমদানি করেছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ডলারের পণ্য।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ভুটান দূতাবাসের ট্রেড কাউন্সিলর কেনচো থিনলে ও থার্ড সেক্রেটারি পেমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর