বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রি ওপেনিংকে ফের কারসাজির সুযোগ ভাবল বিএসইসি

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:০৭

২০২০ সালের অক্টোবরে পুঁজিবাজারে প্রি-ওপেনিং সেশন এবং পোস্ট-ওপেনিং সেশনের চালু করা হয়। পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে গত ২২ মে প্রি ওপেনিং সেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। সে সময় এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। তারপরও গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই সেশন ফেরায় বিএসইসি। দুই মাস পর আবার সিদ্ধান্ত বদল।

দুই মাস পর আবার শেয়ার লেনদেনের প্রি ওপেনিং সেশন বাতিল করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। লেনদেন শুরুর আগের এই সময়ে শেয়ার বিক্রির অর্ডার দেয়ার সুযোগে কারসাজির সন্দেহে বন্ধ করে দিলেও ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবার তা চালু হয়।

দুই মাস যেতে না যেতেই বিএসইসির মূল্যায়ন বলছে, এই প্রি ওপেনিং সেশনে কারসাজি হয়। এখানে অ্যাগ্রেসিভ সেল অর্ডার বসানো হচ্ছে যা পুঁজিবাজারে আতঙ্ক তৈরি করছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম তার সংস্থাটির এই সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত করেছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ সকাল ১০টা থেকে লেনদেন হবে। প্রি-ওপেনিং সেশনের যে পাঁচ মিনিট সময় ছিল, তা আর থাকবে না।’

২০২০ সালের অক্টোবরে পুঁজিবাজারে প্রি-ওপেনিং সেশন এবং পোস্ট-ওপেনিং সেশনের চালু করা হয়। সে সময় সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর আগে ১৫ মিনিট সেল অর্ডার বসানো যেত, আর লেনদেন শেষের ১৫ মিনিট ক্লোজিং প্রাইসে শেয়ার কেনা যেত।

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে গত ২২ মে প্রি ওপেনিং সেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। সে সময় এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে কারসাজির বিষয়টি উঠে আসে। লেনদেন শুরুর আগেই শেয়ারের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে বিপুল সংখ্যক শেয়ার বসিয়ে রাখা হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে এসব কার্যাদেশ বাতিল কিংবা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আতঙ্কে বাজারে দরপতন হতে থাকে।

তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিএসইসির আরেকটি আদেশে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে প্রি ওপেনিং সেশন দেয়া হয়। এবার এই সেশন দেয়া হয় ৫ মিনিটের।

কারসাজির কারণে বন্ধ করে দেয়া সেশন আবার চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে সে সময় বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ করার সময় এও বলা হয়েছিল যে, আমাদের এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং মেশিনের সক্ষমতা বেড়েছে, সেটারও পরীক্ষার জন্য বন্ধ করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে ভলিউম বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত চাপ হচ্ছিল। ডিএসইতে ট্রেডিং মেশিনে ঝামেল হচ্ছে, যার কারণে ডিএসইর আইটি থেকে আমাদের বারবার অনুরোধ করা হচ্ছিল। যার প্রেক্ষিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রি-ওপেনিং সেশনের সময় রাখা হয়েছে ৫মিনিট। ফলে কারসাজি করা সম্ভব হবে না।’

তখন পুঁজিবাজারে নিয়মিত দেড় হাজার কোটি বা আশেপাশে লেনদেন হচ্ছিল। একদিন দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকাও ছাড়ায় লেনদেন।

তবে গত দেড় মাসের মন্দাভাবে লেনদেন চলতি সপ্তাহে নেমে এসেছে তলানিতে। দুই তিন তিন শ কোটির ঘরে এবং একদিন চার শ কোটির ঘরে লেনদেন হয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করে দেখেছি অ্যাগ্রেসিভ সেল অর্ডার বসানো হচ্ছে, যা গত ৫-৬ দিনেও যা হয়নি, সেই রকম। এসব সেল অর্ডার স্বাভাবিক নয়। এসব অযাচিত এবং অ্যাবনরমাল সেল অর্ডার যাতে বাজারে প্র্রভাবিত করতে না পারে এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন না হন, তার জন্যই এটি তুলে নেয়া হয়েছে।’

একই বিষয়ে বিএসইসির বারবার সিদ্ধান্ত বদল সংস্থাটির অস্থিরতার প্রমাণ হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাজার মন্দায় রয়েছে। এখন অনেক কিছুই হতে পারে। সে জন্য হয়তো কিছু একটা করে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার চেষ্টা করে থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এর ফলে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়ে কি-না তা কালই বোঝা যাবে। বাজার কী রিঅ্যাক্ট করা তা দেখার বিষয়।’

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘যদি অ্যাগ্রেসিভ অর্ডার বসানো হয়, তাহলে এটা ভালো হয়েছে। তবে এটা খুব বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না।’

একই বিষয়ে বিএসইসির বারবার সিদ্ধান্ত বদলকে কীভাবে দেখছেন- এই প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি কোনো জবাব দেননি এই দুই জন।

এ বিভাগের আরো খবর