বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোশাককর্মীদের জন্য কারখানায় ‘ন্যায্যমূল্যের দোকান’ 

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২২ ২০:০৮

নির্ধারিত আয়ের পোশাক শ্রমিকরা যাতে সাশ্রয়ী দামে চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চালু করা হয়েছে ‘ন্যায্যমূল্যের দোকান’।  এতে সহায়তা দিচ্ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন-গেইন।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীসহ নিম্ন আয়ের লোকজন।

তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন-গেইন।

নির্ধারিত আয়ের এসব শ্রমিক যাতে সাশ্রয়ী দামে চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চালু করা হয়েছে ‘ন্যায্যমূল্যের দোকান’।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে প্রবেশগম্যতা ও নিরাপদ খাবার গ্রহণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান গেইন-এর বাংলাদেশ প্রধান মনিরুজ্জামান বিপু। এই কর্মসূচির আওতায় ৮০ হাজার পোশাক কর্মী উপকৃত হবেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহসান-ই-এলাহী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গেইন বাংলাদেশের ওয়ার্কফোর্স নিউট্রিশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জি এম রেজা সুমন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওসান ফাউন্ডেশনের ডেলিগেট এলিয়ান রেনার্স।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গেইন-এর সহায়তায় ইতোমধ্যে গাজীপুর ও আশুলিয়ার দুটি কারখানায় বেশ কয়েকটি দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এসব কারখানার ১৫ হাজার পোশাক কর্মী ও তাদের পরিবার সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ডিম, ডাল, দুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গৃহস্থালি উপকরণ কিনতে পারছেন। এখন নতুন করে পোশাক কর্মীদের এ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান প্রমুখ।

মনিরুজ্জামান বিপু বলেন, ‘এই প্রকল্পের মূল্য লক্ষ্য পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী দামে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা, যাতে তারা এই খাতে আরও উৎপাদনশীল ভূমিকা রাখতে পারেন। পাশাপাশি খাদ্যের বিপণন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করাও একটি লক্ষ্য।’

সচিব এহসান-ই-এলাহী বলেন, ‘পোশাক কারখানার কর্মীদের কাজে গতি বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। তুলনামূলক কম দামে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে এসব দোকান স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবসম্মত। এটিকে কিভাবে আরও দেশের অন্যান্য কারখানায় বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।

‘সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমিকের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর