বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশবান্ধব ও সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:৫৪

সামাজিক এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে উদ্ভাবনী অনুশীলন ও কর্মকাণ্ডের জন্য পোশাক খাতের এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মানিত করা হয়। ১৮টি বিভাগে বিজয়ীদের এই পুরস্কার দেয়া হয়।

বিজিএমইএর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ সপ্তাহে পরিবেশবান্ধব ও সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সামাজিক এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে উদ্ভাবনী অনুশীলন ও কর্মকাণ্ডের জন্য পোশাক খাতের এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মানিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাসটেইনেবিলিটি লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (এসএলএ) প্রোগ্রামে বিজিএমইএ এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড) জিএমবিএইচ যৌথভাবে এই পুরস্কার দেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি কারখানা, ব্র্যান্ড প্রতিনিধি, বিভিন্ন সংস্থা ও সংঘ এবং একাডেমিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এই অনুষ্ঠানে ১৮টি বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হয়।

পুরস্কারগুলো তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। সামাজিক প্রতিপালন, পরিবেশগত উৎকর্ষতা, এবং উদ্ভাবনী শ্রেষ্ঠত্ব-এই তিনটি শ্রেণির অধীনে নয়টি উপ-বিভাগে পুরস্কারগুলো দেওয়া হয়।

‘সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স’ বা সামাজিক প্রতিপালন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছে- কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে শ্রেষ্ঠত্ব, কারখানার আশপাশে সামাজিক উদ্যোগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা। কারখানাগুলো ‘পরিবেশগত উৎকর্ষতা’ ক্যাটাগরিতে এর পানির ব্যবহার, টেক্সটাইল বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার বা সামগ্রিক পরিবেশগত বিন্যাসে নেতৃত্ব দেয়াকে প্রাধান্য দিয়েছে।

এছাড়া উদ্ভাবনী তথা নতুন নতুন ব্যবহারের দিকে যেসব ফ্যাক্টরি প্রাধান্য দিয়েছে তাদেরও পুরস্কৃত করা হয়েছে।

অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে ব্যবসার সৃষ্টিশীল উন্নয়ন, কর্মীদের কল্যাণ এবং ভবিষ্যতের সুরক্ষা বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।

সামাজিক প্রতিপালন বা সোশ্যাল স্ট্যান্ডার্ডস-এর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য কারখানা সেটআপ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয় ভিন্টেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড এবং রানার-আপ হয়েছে ইকোটেক্স লিমিটেড।

কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, রানার-আপ প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড।

সেরা সামাজিক উদ্যোগ ‘নেবারহুড অফ অ্যা ফ্যাক্টরি’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে এপিলিয়ন নিটওয়ার লিমিটেড ও রানার-আপ হয় ফ্ল্যামিংগো ফ্যাশনস লিমিটেড।

পরিবেশগত উৎকর্ষতা বা এনভায়রনমেন্টাল এক্সিলেন্স-এর মধ্যে সেরা পরিবেশবান্ধব ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড এবং রানার-আপ হয়েছে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।

কম পানি ব্যবহার ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে কালার সিটি লিমিটেড, রানার-আপ ইউনিভার্সাল জিন্স লিমিটেড; টেক্সটাইল বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার ক্যাটাগরিতে সম্মিলিতভাবে বিজয়ী হয়েছে ম্যাটিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড ও সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড। এতে রানার আপ হয়েছে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড।

সবশেষ উদ্ভাবনী শ্রেষ্ঠত্ব বা ইনোভেশন এক্সিলেন্স-এ ব্যবসায়িক দিক থেকে সেরা উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড ও রানার-আপ হয়েছে জে এম ফেব্রিক্স লিমিটেড।

সেরা ভবিষ্যৎ বিষয়ক উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে বেক্সিমকো রিকভার এবং রানার-আপ হয়েছে জিন্নাত ফ্যাশনস লিমিটেড। সেরা কর্মী কল্যাণ উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতে বিজয়ী স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড, রানার-আপ এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং আরএমজি শিল্পে টেকসই ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আমরা বাংলাদেশের আরএমজি শিল্পে টেকসই বাড়াতে এবং এই খাতটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

টেক্সটাইল সেক্টরের স্টেকহোল্ডারদের এই যৌথ সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানান জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাস্টারের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. মাইকেল ক্লদ। বাংলাদেশে টেকসই অনুশীলন প্রতিষ্ঠার জন্য জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে তৈরি টেক্সটাইল আমদানিকারক দেশ হিসেবে এক নম্বরে রয়েছে। অংশীদারদের পাশাপাশি ফ্যাক্টরিগুলোর সঙ্গে আমরা এ পথ চলমান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এ বিভাগের আরো খবর