আমদানি পণ্যর মূল্য পরিশোধের সময় বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) তহবিল নেয়া ঋণে আমদানি মূল্য পরিশোধে এই সুযোগটি থাকবে না।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত্র সার্কুলার জারি করে সব অথোরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
চলমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পরিস্থিতি জানিয়ে ডলার সাশ্রয় ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) দায় পরিশোধ ও কৃষি উপকরণ পণ্যর আমদানি মূল্য পরিশোধে এসময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপরকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানিতে পণ্য মূল্য আগামী বছরের ৩০ জুন পযর্ন্ত সময়ে পরিশোধ করা যাবে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে পণ্য মূল্য পরিশোধে নির্ধারিত সময় ৬ মাস বা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২৭০ দিন করা হয়েছিল। আর গত জুলাইয়ে তা ৩৬০ দিনে উন্নীত করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ নীতি অনুযায়ী, পণ্য আমদানি হওয়ার পর তার মূল্য পরিশোধ করতে সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় পেতেন উদ্যোক্তার। কোভিড-১৯ এর প্রভাব সামাল দেয়া ও ডলার সাশ্রয়ে এই সীমা একাধিকবার ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ২৭০ দিন করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যার সময় ইতোমধ্যে অনেকের শেষ হয়ে গেছে। আবার অনেকের শেষ হওয়ার পথে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সব দায় পরিশোধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট দেখা দেয়ায় বাকিতে পণ্য আনার সুবিধাটি আরও উন্মুক্ত করল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেরিতে অর্থ পরিশোধ করায় বিনিময় হার বিবেচনায় নিলে অর্থ পরিশোধের সময় ডলারের মূল্য আরও চড়লে সেখানেও বাড়তি দামে কিনতে হবে আমদানিকারকদের।