পুঁজিবাজারে এসএমই (স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্লাটফর্ম) মার্কেটে লেনদেনের জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার শর্ত দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
এ সংক্রান্ত একটি আদেশের অনুলিপি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ আদেশের ফলে এখন থেকে যে কোন বিনিয়োগকারী এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারবে।
কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার শর্ত দিয়ে বিএসইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেন্জ করে রাজধানীর দিলকুশার বাসিন্দা মো. রাজু হাসান হাইকোর্টে রিট করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন মোস্তফা কামাল। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদেশের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর লেনদেনের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম চালু হয়। সেদিন প্রথমিকভাবে ছয়টি কোম্পানি নিয়ে ডিএসইর এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন চালু করা হয়। বর্তমানে এসএমইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ১৫টি। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে।
প্রথমে এক কোটি, পরে ৫০ লাখ, এরপর ২০ লাখ এবং সবশেষ ৩০ লাখ- পুঁজিবাজারে কত টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনা যাবে, এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত।
সবশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত আসে, এসএমইতে লেনদেনে যোগ্য বিনিয়োগকারী হতে শেয়ারবাজারে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।