বাংলাদেশের ওষুধ ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ব্যাপকভাবে আগ্রহী ইরাকের উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা।
বুধবার ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সঙ্গে ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় এই আগ্রহের কথা জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৯ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার। এ সময়ে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ৫৩ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার ও রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার।
রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি করে শাক-সবজি, আলু, আম, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানি করতে ইরাকি প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের পাশাপাশি আরও বেশি হারে দক্ষ মানব সম্পদ নেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ বলেন, ‘ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ইরাকের বাজার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও লাভজনক।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুর পাশাপাশি ডিসিসিআই ও সোলাইমানি চেম্বারের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে।’
সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ ও চামড়া খাতে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ইরাকের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত আগ্রহী। একইসঙ্গে ইরাকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা আগ্রহী হলে সোলাইমানি চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।